বুধবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » শেখ হাসিনা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি প্রধানের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে মামলা
শেখ হাসিনা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি প্রধানের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে মামলা
লন্ডন প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম এবং অত্যাচার নিপীড়নের অভিযোগ এনে ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন একজন প্রবাসী।মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পুলিশের আইজি শহীদুল হক, র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ এবং বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।গত ৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যস্থ শহীদ জিয়া স্মৃতিকেন্দ্রের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন।”বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আন্দোলনরত নেতা কর্মীদের প্রতি সম্প্রতি পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি প্রধানের প্রকাশ্য হুমকি, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমনের হুমকির বিচারের দাবিতে একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে বিবেকের তাড়নায় নিজে বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন বলে” জানান শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন।গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ইউরোপভিত্তিক প্রবাসী সংগঠন সিটিজেন মুভমেন্টের আহবায়ক এম এ মালেক, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক, বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, সৈয়দ জাবেদ ইকবাল, এমাদুর রহমান এমাদ, খসরুজ্জামান খসরু, ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন, শহীদ মুসা, মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বাংলাদেশে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। রাজপথে প্রতিবাদী মানুষের উপর গুলি চালানো হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। বাকশাল আজ নতুন রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে এতে মন্তব্য করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেই তারা গণতন্ত্র হত্যার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। সামাজিক ন্যায় বিচারের পরিবর্তে এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে সর্বত্র।”
“গত কয়েক দিন পূর্বে গোয়েন্দা সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে ৫০জন প্রবাসীর তালিকা কালের কন্ঠ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে,এবং এই পঞ্চাশ জন নেতা কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, প্রবাসীদের যারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দেশে তাদের পরিবার পরিজনকে দেখে নেবেন। এমতাবস্থায় বিরোধী দলের রাজনীতির সমর্থক এবং কর্মীদের জীবন চরম হুমকির মুখে।”
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, “বাংলাদেশের আদালতে আজ ন্যায় বিচারের কোন সুযোগ নেই। বিচার ও আদালত চলে সরকারের ইচ্ছায়। কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ৩টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বাংলাদেশে মানবাধিকার বিরোধী কার্যক্রমগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাই এই মামলার মূল লক্ষ্য” বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।