বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » রাজনীতি » আন্দোলনের নামে কোনো তারিখেই কোনো কাজ হবে না: শিল্পমন্ত্রী
আন্দোলনের নামে কোনো তারিখেই কোনো কাজ হবে না: শিল্পমন্ত্রী
পক্ষকাল প্রতিবেদক : বিএনপি’র আন্দোলনের ঘোষণার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আন্দোলনের নামে কোনো তারিখেই কোনো কাজ হবে না।
বুধবার রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী একথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিল্পসচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফরহাদ উদ্দিন ও সুষেণ চন্দ্র দাস, বিসিআইসি’র পরিচালক মোঃ আবুল কাশেম বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, যানবাহনে ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, রেল লাইন উপড়ে ফেলে মানুষ হত্যা, গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়ে সাধারণ জনগণকে অন্ধকারে রাখার নাম আন্দোলন হতে পারে না। বিএনপি’র এধরণের ঠকবাজির আন্দোলন থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আন্দোলনের নামে এ ধরণের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের সাথে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গেরিলা যুদ্ধের সিভিল রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, ৬ দফা ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠি বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রকারি হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। একারণে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা না করে ’এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম’ বলে কৌশলে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা না চাইলে পশ্চিম পাকিস্তানিদের সাথে আপোস করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করেননি। বঙ্গবন্ধু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে বহু প্রত্যাশিত বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারি শহিদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। গত ছয় বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হয়েছে, পৃথিবীর কোনো দেশে এত দ্রুত তা হয়নি। তারা দেশে সুশাসন, শান্তি-শৃক্সক্ষলা প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রেখে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।