শনিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » পেট্রোলবোমায় নিহত শৈলকুপার ইমরানের বাড়িতে শোকের মাতম
পেট্রোলবোমায় নিহত শৈলকুপার ইমরানের বাড়িতে শোকের মাতম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহের শেখপাড়া বাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া দিনাজপুরগামী পানবোঝাই একটি ট্রাকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বগুড়ার তিনমাথা এলাকায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ট্রাক সহকারী ইমরান হোসেন। এ ঘটনায় ট্রাকে থাকা পান ব্যবসায়ীও মারা যান। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রাকের চালক। নিহত ইমরান জেলার শৈলকুপা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে। সে শৈলকুপার শেখপাড়া ডিএম ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি ট্রাক সহকারী হিসেবে কাজ করতেন ইমরান।
নিহত ট্রাক সহকারী ইমরান হোসেনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। প্রিয় স্বজনের মৃত্যুর খবরে দরিদ্র পরিবারটিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সেই সঙ্গে এলকাবাসীও মানতে পারছে তার মৃত্যুকে। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত ইমরানের পরিবার ও এলকাবাসী। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে তার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। পুরো গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহত ইমরানের পারিবারিক সূত্র ও এলাকাবাসি জানায়,পরিবারে দুই বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে ইমরান ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। সে পরিবারের অন্যতম উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ট্রাক চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন ইমরান। শৈলকুপার শেখপাড়া ডিএম ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। এসএসসি পাসের পর পরিবার থেকে লেখাপড়ার খবর বহন করতে না পারায় ইমরান ও ভাই রকি এ পেশা বেছে নেয়।ছেলের এমন মৃত্যুতে কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে গেছে মায়ের চোখের জল। কিন্তু থামছে না বিলাপ। নিহত ইমরানের মা জহুরা খাতুন জানান, আমার যা শেষ হবার তা শেষ হয়ে গেছে। এমন কি আর ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে। শোকে নিঃস্তব্ধ হয়ে গেছেন তার বাবাও।ইমরানের বাবা আয়ুব হোসেন বিশ্বাস জানান, লেখাপড়া শিখে চাকরি করার স্বপ্ন পূরণ হলো না ছেলের। তিনি এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।