বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » রাজনীতি » ‘শেখ হাসিনার ইশারা ছাড়া লতিফ সিদ্দিকী থুতুও ফেলেন না’
‘শেখ হাসিনার ইশারা ছাড়া লতিফ সিদ্দিকী থুতুও ফেলেন না’
পক্ষকাল প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইশারা ছাড়া সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী থুতুও ফেলেন না বলে দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তিনি বলেন, ‘যে লতিফ সিদ্দিকী শেখ হাসিনার ইশারা ছাড়া থুতু ফেলেন না, তিনি নিউইয়র্কে ইসলামের বিরুদ্ধে তার ইশারা ছাড়া কথা বলেছেন বলে আমরা মনে হয় না।’
মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় দলটির আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার ভাই লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। আগে তিনি যেকথা বলতেন সেটা আওয়ামী লীগের কথা হলে, নিউইয়র্কে যেকথা বলেছেন সেটা আওয়ামী লীগের কথা হবে না কেন? তাই এর দায়-দায়িত্ব আওয়ামী লীগকেও নিতে হবে।’
জনগণ শেখ হাসিনাকে যেমন চায় না তেমনি খালেদা জিয়ার ওপরও ভরসা পাচ্ছে না দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের এ কিংবদন্তী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জনগণ চাইলে এক বছর আগেই সরকারের পতন ঘটত।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি বিরোধীদল হিসেবে সকল বিরোধীদলকে এক করতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, আওয়ামী লীগও তেমনি সরকারি দল হিসেবে ব্যর্থ। রাষ্ট্রের একটি কুকুর মারা গেলেও তার দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। কিন্তু সরকার তা করছে না।’
সরকার ও বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ীভাবে আসেনি। মানুষ কেন বুঝতে চায় না আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় কিন্তু তাদের চুরির ভাগ বিএনপি পায়। আবার বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের চুরির ভাগ আওয়ামী লীগ পায়। এটা তাদের মধ্যে অঘোষিত সমঝোতা।’
এ সময় কাদের সিদ্দিকী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বৃহৎভাবে পালনের ঘোষণা দেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব উন নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দ্বীপ প্রমুখ।