ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ
মোঃ হোসনে হাসানুল কবির, মুন্সীগঞ্জঃ ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ, পহেলা ফাল্গুন। বাংলার নিসর্গ প্রকৃতিতে দোলা দেবে ফাল্গুনি হাওয়া। শীতের জীর্নতা ভেঙে প্রকৃতিকে নতুন সাজে সাজাবে ঋতুরাজ।
মধুময় বসন্তে ফুলের সৌরভে মেতে উঠবে চারিপাশ। কোকিলের কুহুতান, মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, মাতাল হাওয়া প্রাণে প্রাণে দেবে দোলা। শীতের আবরণে লুকিয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া জেগে উঠবে সোনালি রোদের স্পর্শে। বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে জানিয়ে দিল বসন্ত কড়া নাড়ছে দুয়ারে। যদি বলা হয় বসন্তের রং কি তাহলে সবাই বলবে ‘বাসন্তী’। হ্যাঁ, গাঁদা ফুলের রঙেই আজ সাজবে তরুণ-তরুণীরা। পরবে বাসন্তী রঙের শাড়ি। খোঁপায় গুজবে ফুল আর হাতে পরবে কাচের চুড়ি। তরুণরাও বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পরে নামবে বাংলার পথে ঘাটে।
শুধু শহরেই নয়, বাংলার গ্রামীণ জনপদেও আজ ঝিরি ঝিরি বাতাসে ধরা দেবে বসন্ত। বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বসন্ত। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলায়। বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। এ উৎসব এখন সব বাঙালির উৎসব।
জানাযায়, এই উৎসবটির একটি ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে।মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম ও উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না।
বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে ঢাকায় ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বসন্তের নাচ, গান ও কবিতার আয়োজন করা হয়েছে।