দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অনিয়মের অভিযোগ
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
চাকুরীতে সকালে বরখাস্ত বিকালে যোগদান, মানবাধিকার সংস্থার হস্তক্ষেপ। এলাকাবাসী সরকারি কাজে অনিয়ম ও দোষী ব্যক্তিদের বিচারের শাস্তির দাবি।
সূত্রে প্রকাশ, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বৈকুন্ঠুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন তার সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে স্কুলের অনিয়ম কর্মকান্ডের জন্য মৌখিক ভাবে সর্তক করার পরেও অনিয়ম অভ্যাসের পরিবর্তন করেন নাই। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক স্কুল কমিটির মিটিং এ তুলে ধরেন। সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রহিমা খাতুন প্রধান শিক্ষককে সায়েস্থা করার জন্য তার স্বামী ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমকে জানালে প্রধান শিক্ষক ১৭/১১/১৪ ইং স্কুলে আসার মধ্যে শেফালী বাজার নামক স্থানে আলিম ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক আটক করে মারধর করে রক্তাক্ত করে আহত করে। লোকজন আহতকে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। আলতাব মাষ্টার অসুস্থতায় তার বড় ভাই আফতাব উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন যাহার নং-১৯/২০৪। অপর দিকে এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক চিরিরবন্দর শিক্ষা অফিসকে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। ঘটনাটি চিরিরবন্দর শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহাদাত হোসেন ও মতিয়ার রহমান ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে দোষী স্বাব্যস্ত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ০১/১২/১৪ ইং তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত- উনিঅ/চিরির/২০১৪/৫৫৩ স্বারকে ২৭/১১/২০১৪ ইং তারিখে বিধিমোতাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার দিনাজপুরকে সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান। অপর দিকে কাউন্টার মামলা হিসেবে সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রহিমা খাতুনের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে ২৭/১১/২০১৪ ইং নারী ও শিশু আদালতে ১০/২ ধারা মতে মামলা দায়ের করেন মামলা নং-৮৩২। আদালত মামলাটি ওসি চিরিরবন্দরকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিলে ওসি রওশন মোস্তফা ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্তে এসে, ওই গ্রামের সাত্তারের মৃতঃ স্ত্রী সাহেদা খাতুনকে স্বাক্ষী দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ওসি রওশন মোস্তফাকে স্টান রিলিজ করা হয়। পরবির্ততে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে শৃংঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি ২ (এফ) অসদাচরন, চাকুরীর শৃংঙ্খলা ও সুব্যবস্থার পক্ষে ক্ষতিকর এবং সরকারি কর্মচারী আচরন বিধিমালা ১৯৭৯ এর পরিপন্থি অভিযোগে অভিযুক্ত করে ১১ (১) মোতাবেক ৪/০২/২০১৪ ইং বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের দুই মাসের মধ্যে গত ০৮/০২/২০১৫ ইং বরখাস্তটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ঘটনাটি সুধিসমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে। উভয় পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে। ওই এলাকার সুধিসমাজের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অপর দিকে প্রধান শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক হিসেবে অন্যত্র বদলী করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে বলে সূত্র জানায়। সিট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার বিভাগের যুগ্ন মহাসচিব মোঃ এনামুল হক ঘটনাটির সঠিক ভাবে তদন্ত স¦াপেদেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন।