সোমবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » » খুনির সঙ্গে আলোচনা নয়: প্রধানমন্ত্রী
খুনির সঙ্গে আলোচনা নয়: প্রধানমন্ত্রী
পক্ষকাল প্রতিবেদক ঃচলমান পরিস্থিতিতে দুই প্রধান নেত্রীকে সংলাপে বসতে বিভিন্ন মহলের আহ্বানের প্রেক্ষাপটে রোববার সংসদ অধিবেশনে তা উড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, অবরোধ-হরতাল ডাকার পর খালেদা জিয়া কার্যালয়ে অবস্থান করে পেট্রোল বোমা হামলার নির্দেশ দিচ্ছেন।আমার তো মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়ার কাছে বসতে গেলে বার্ন ইউনিটের পোড়া মানুষের গন্ধ পাওয়া যাবে। আলোচনা করে কী হবে? মেনে নেবেন? মেনে নেবে না।”বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে যারা আলোচনা করছেন, তারা সন্ত্রাসকেই উৎসাহিত করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির মামলা থেকে রক্ষা পেতেই খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা চালাচ্ছেন।খালেদা জিয়াকে ‘উন্মাদ’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে বাঁচাতে হবে। সকলকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে। যারা এই জঘন্য কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সকল ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন নিয়ে আমরা কাউকে খেলতে দিতে পারি না।”প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যই পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হচ্ছে।খালেদা জিয়া নিজের স্বার্থে যে কোনো কাজ করতে পারে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “ওনাকে নির্বাচনে আনার জন্য সব করেছি। ফোন করেছি। সর্বদলীয় সরকার করে যে কোনো মন্ত্রণালয় দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। তাতেও তাকে আনতে পারিনি।”"এই মহিলা সম্পূর্ণ একটা বিকৃত মানসিকতা নিয়ে আচরণ করছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতি জনগণের জন্য। আর, সেই জনগণকেই পুড়িয়ে মারা। তখন সেটা রাজনীতি না, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড।”
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০ দলীয় জোটের বিক্ষোভ কর্মসূচির সকল অনুমতি দেওয়া ছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেউ নামেনি। উনিও (খালেদা জিবিএনপি চেয়ারপরসনের কার্যালয়ে অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “উনি অফিসে আছেন। তার অনেক দরদি আছে। তারা লিখছে, তার খাওয়া যাচ্ছে না। অফিসে খাওয়া যাবে কেন? অফিসে যাবে, অফিস শেষে বাড়িতে যাবে, বাড়িতে খাওয়া- দাওয়া করবে।”"শুনি ৫০/৬০ জন মানুষ সেখানে। ৫০/৬০ জন মানুষ ওখানে বসে কি করছে। উনি অফিসে বসে কাদের পাহারা দিচ্ছেন? ওনার রাজনৈতিক কর্মী, না সন্ত্রাসী? সেখানে জঙ্গি আছে কিনা- তাও দেখা উচিত।” টেলিফোন করে খালেদা জিয়া মানুষ পোড়ানোর ব্যবস্থা করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সময়সূচি কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া’ প্রসঙ্গে কার্যপ্রণালী বিধির ৬৮ অনুযায়ী ‘সংক্ষিপ্ত’ আলোচনার জন্য এই নোটিস উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।
কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী নোটিসদাতা ছাড়াও আরও পাঁচ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর ও সংসদ নেতার সম্মতি সাপেক্ষে স্পিকার নোটিসটি গ্রহণ করেন।
নোটিসে স্বাক্ষরকারী অপরাপর সদস্যরা হলেন বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র সদস্য উষাতন তালুকদার, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, রনজিত কুমার রায় ও জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সদস্য মাহজাবীন মোরশেদ।
নির্ধারিত এক ঘণ্টার আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আবদুল মান্নান, আবদুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ডা. এনামুর রহমান, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, মাহজাবিন মোরশেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল ও স্বতন্ত্র সদস্য হাজি সেলিম।