দিনাজপুর রেলওয়ে ভিআইপি কেবিন এখন পতিতালয় :
এস.এন.আকাশদিনাজপুর
দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন এখন পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে রেল কর্মচারী টিসি ওয়াশিবুর রহমান শুভ। প্রতি মাসে কয়েকজন অসাধু রেলওয়ের কর্মচারী ও কর্মকর্তা রেলওয়ের ২য় তলায় ভিআইপি ওয়েটিং রুমগুলোকে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দিয়ে প্রথমে তালা খুলে দিয়ে কপোত-কপোতিদের ভেতরে ঢুকিয়ে আবারও তালা ঝুলিয়ে দেয় যেন কেউ বুঝতে না পারে। সূত্র মতে এভাবেই দৈনন্দিন মিনি পতিতালয় হিসেবে এই ভিআইপি কেবিন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা এ প্রতিনিধিকে জানান।
গতকাল সোমবার দিনাজপুর রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) থানায় আটককৃত কপোত-কপোতিরা জানায়, বেলা ২টা ৩০ মিনিটে তারা রেল কর্মচারী টিসি ওয়াশিবুর রহমান শুভ ও রেলওয়ের কয়েকজনকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে শহরের সুইহারী নিবাসী মৃত আনছার আলীর পুত্র সাজ্জাদ (৩৬) ও মহরমপুর, চেরাডাঙ্গী নিবাসী তসলিমের কন্যা শারমিন (২৭) দিনাজপুর রেলওয়ে ১ম শ্রেণীর বিশ্রামাগারে জায়গা করে দিয়ে টিসি শুভ গেটে তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যায়।
ধৃত শারমিন জানায় সে দিনাজপুর সরকারি কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টিসি ওয়াশিবুর রহমান শুভ ও রেলওয়ের অসাধু কয়েকজন মিলে দীর্ঘদিন যাবত দিনাজপুর রেলওয়ের ভিআইপি কেবিনগুলোকে মিনি পতিতালয়ে পরিণত করে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল তারা। গতকাল দিনাজপুর রেলওয়ে ভিআইপি কেবিনে একজোড়া কপোত-কপোতি ধরা পড়ে এ মিনি পতিতালয়ের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে আনোয়ার ইসলাম মঞ্জু স্টেশন মাস্টার না আসলেও স্টেশন সুপারিনটেন্ডটেন্ড (এস.এস) গোলাম মোস্তফা দিনাজপুর রেলওয়ের কেবিনে আটক হওয়া কপোতকপোতি ঘটনাটি দেখেন ও শোনেন। তিনি এ প্রতিনিধি জানান, ওয়াশিকুর রহমান শুভ একজন মাদকাসক্ত কর্মচারী বলে আমি জেনেছি এবং এর আগেও এ ধরণের ঘটনা আমার কানে এনেছে। তিনি জিআরপি ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্লাটফর্মে জনৈক দোকানদার জানান, এর আগেও ওয়াশিকুর রহমান শুভ কেবিনে যুবক-যুবতীদের অবাধ মেলামেলার সময় স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়লেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বরং তখন কতিপয় কিছু যুবক দিয়ে টাকা ভাগাভাগি নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জিআরপি থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বলেন, দিনাজপুর রেলওয়ের ভিআইপি কেবিন আমরা কপোত-কপোতিদের আটক করেছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
দিনাজপুর রেলওয়ের প্রথম শ্রেণীর বিশ্রামাগার (ভিআইপি) কেবিনগুলো পতিতালয়ের বিষয়টি নিয়ে দিনাজপুর শহর এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।