খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ধোঁয়াশা
পক্ষকাল প্রতিবেদকঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির দুইদিন অতিক্রান্ত হলেও পরোয়ানা পৌঁছায়নি সংশ্লিষ্ট থানায়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল জানান, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনও পুলিশ স্টেশন এ ধরনের কোনও পরোয়ানা পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু আমরা এখনও এটা পাইনি।’ গ্রেফতারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছানোর পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুর্নীতির দুই মামলায় নির্ধারিত তারিখে শুনানিতে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, এ পর্যন্ত এ দুটি মামলায় মোট ৬৩ দিন আদালত বসেছে। যার মধ্যে মামলার প্রধান অভিযুক্ত খালেদা হাজির ছিলেন মাত্র সাত দিন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা সাধারণত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৭৫ ধারা অনুযায়ী ইস্যু করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনের নাম উল্লেখ থাকে। ওই স্টেশনের কর্মকর্তা এবং তাদের পদ উল্লেখ করা হয়। শুনানির নির্দিষ্ট দিনে তাদের আদালতে হাজির করতে বলা হয়।
ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের সহকারী বেঞ্চ অফিসার আরিফুল ইসলাম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানার সামগ্রিক বিষয়ে সম্যক অবগত থাকার কথা। কিন্তু গতকাল তিনি বলেন, এটা তার এখতিয়ার বহির্ভূত এবং এ সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না।
এমনকি পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ বিষয়ে তার কোনও ধারণা নেই।
ঢাকা কোর্টের একজন সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি বলেন, পরোয়ানা পাওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গ্রেফতারে বিলম্ব করতে পারেন। কারণ তাদের একটি নির্দিষ্ট শুনানির দিন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুনানির কয়েক ঘণ্টা বা একদিন আগেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে।
আগামী ৪ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও অন্য পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ট্রাস্টের তহবিল থেকে ১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।