শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » » কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলো স্বজনরা
কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলো স্বজনরা
পক্ষকাল প্রতিবেদকঃ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে গেছেন তার স্ত্রী নূরুন্নাহারসহ পরিবারের ৮ সদস্য। শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা।
নূরুন্নাহারের সঙ্গে রয়েছেন- কামারুজ্জামানের মেয়ে আফিয়া নূর, পুত্রবধূ শামীম আরা, শ্যালক আবুল কালাম আজাদ, ভাগ্নে সানোয়ার হোসেন এবং ৩ ভাগ্নি রোকসানা জেবিন, শাহানা জেবিন ও আফরোজা জাহান। কামারুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তার সঙ্গে পরিবারের এটিই প্রথম সাক্ষাৎ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কামারুজ্জামানের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন।
এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের জানান, এটি নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ। দেখা করার জন্য তারা আধা ঘণ্টার মতো সময় পাবেন।
গত বছরের ৩ নভেম্বর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
গত বছরের ৬ জুন ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামান। আপিলে ২৫৬৪টি মূল ডকুমেন্ট, ১২৪টি গ্রাউন্ডসহ সর্বমোট ১০৫ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া বাকি দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।