সোমবার, ২ মার্চ ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দেড় যুগেও মেরামত হয়নি পাঁচপাখিয়া সেচখালের ভাঙা কালভার্ট
দেড় যুগেও মেরামত হয়নি পাঁচপাখিয়া সেচখালের ভাঙা কালভার্ট
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নে দেড়যুগ পরও মেরামত হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন পাঁচপাখিয়া গ্রামের সেচখালের ভাঙা কালভার্টটি।
এ কালভার্টে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৪ জনের বেশি মানুষ,যানবাহন সহকারে আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ । এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে কৃপালপুর,পদ্মনগর,চর-রুপদাহ, ব্যাসপুর, নিত্যানন্দনপুর, গোলকনগর, হাটফাজিলপুর,কুমিড়াদহ,যুগ্নি-বাগনিসহ ১০/১২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বর্তমানে আবাইপুর ইউনিয়নের আতঙ্কের নাম পাঁচপাখিয়া সেচখালের সেতুটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের পাঁচপাখিয়া গ্রাম। পার্শ্ববর্তী কৃপালপুর, পদ্মনগর, ব্যাসপুর, নিত্যানন্দনপুর, গোলকনগর, হাটফাজিলপুরসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তায় হাটফাজিলপুর বাজার হয়ে থানা সদর শৈলকুপা এবং জেলা সদর ঝিনাইদহে যাতায়াত করে। অথচ প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙা অচল অবস্থায় পড়ে আছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কালভার্ট।
১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন মোল্লা সহ এলাকাবাসী তাদের নিজেদের চেষ্টায় বাঁশ-কাঠের সাহায্যে কোনোরকমে জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করে যাচ্ছে মারণ ফাঁদ হয়ে দেখা দেয়া কালভার্টটি। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। গত কয়েক বছর ধরে মারা গেছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ জন, আহত হয়েছে শতাধিক। এদের বেশিরভাগই বাইসাইকেল,মটরসাইকেল আরোহী।
পাঁচপাখিয়া গ্রামের আলহাজ নূর-আলম বিশ্বাস জানান, এমন কোনো দিন নেই যে এখানে ছোট-বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে না। স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও এর কোনো প্রতিকার না পেয়ে বারবার নিজেদের মতো বাঁশ-কাঠ দিয়ে জোড়াতালির কালভার্ট ব্যবহার করে আসছে। এর দু’পাশের বেষ্টনির চিহ্ন নেই বহু আগে। মাঝে মাঝে বড় বড় গর্ত হয়ে ভেঙে গেছে পাকা ঢালাই।
কুমিড়াদহ গ্রামের তপু মোল্লা জানান, বহুবার কালভার্ট মেরামতের দাবি করে দেড় যুগ পর এখন আর কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চায় না। আতঙ্কের আরেক নাম পাঁচপাখিয়া ব্রিজ যেন এলাকাবাসীর কপালের লিখন।
শৈলকুপা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিকী বলেন, ‘তিনি নতুন এসেছেন পাঁচপাখিয়া গ্রামে সেচ খালে কালভার্ট ভাঙার বিষয়টি শুনেছেন। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ই-টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এর আওতায় পাঁচপাখিয়া কালভার্ট তালিকাভুক্তকরণ রয়েছে।