চিরিরবন্দরে আসামী ছিনতাইকালে ৪ পুলিশ আহত
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
নাশকতার মামলার আসামী ও বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতিকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পরিবারের লোকজনের আক্রমনে ৪ পুলিশ গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নামীয় ১২ জন ও অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামী করে চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিলে দুই আসামীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরন করেছে।
জানা গেছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা হরতাল অবরোধে গাড়ী পোড়ানো মামলার আসামী দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হবিবর রহমান (৫০) কে গত শুক্রবার বিকালে চিরিরবন্দর থানার এসআই আতোয়ার হোসেন, এএসআই মোস্তাফিজুর, রবিউল ইসলাম, কনষ্টেবল জাহাঙ্গীর, হাবিুল্লাহ ও গ্রাম পুলিশ ফয়জার সাদা পোশাকে তুলশীপুর গ্রামের তালপাড়ার নিজ বাড়ীতে আটক করে। এ সময় হবিবরের বড় ছেলে রেজওয়ান (২৩), ছোট ছেলে হায়দার আলী (১৯), স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন, মা হনুফা বেওয়া তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে ধস্তাধস্তি শুরু করে ও দেশীয় অস্ত্র লাঠি কোদাল দা বটি দিয়ে পুলিশকে আক্রমন করলে এএসআই মোস্তাফিজুর, রবিউল কনষ্টেবল হাবিুল্লাহ ও জাহাঙ্গীর গুরুতর আহত হয়। পুলিশও আতœরক্ষার্থে ৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি চালায়। গুলিতে হবিবরের বড় ছেলে ও ব্রমপুর ফাযিল মাদরাসার ফাযিল ক্লাশের ছাত্র রেজওয়ানুল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ও অপর ছেলে হায়দার, স্ত্রী আম্বিয়া, মা হনুফা বেওয়া আহত হয়। এ সুযোগে আটক হবিবর হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে চিরিরবন্দর থানার অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে আহত পুলিশদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। রাতে এসআই আতোয়ার হোসেন ১২ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামী করে দন্ডবিধি ১৪৩, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৩৭৯, ৩২৫, ৩২৬, ২২৪, ২২৫ ও ৩৪ ধারায় চিরিরবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ব্রমপুর গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫) ও চকমুশা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে কারিমুল (২৫) কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম জানান, তালিকাভুক্ত অন্যান্য আসামী আপাতত গা ঢাকা দিয়েছে তবে সন্ধান পাওয়া মাত্রই তাদেরকে আটক করা হবে।