চাটমোহরে কার দুম্বা কে খায়
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদে সৌদি সরকার প্রেরিত দুম্বার মাংস ভাগ বাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় গরীব দুস্থ অসহায়দের জন্য প্রেরিত দুম্বার মাংসগুলো বিতরণের ক্ষেত্রে করা হয়েছে স্বজনপ্রীতি। লোভনীয় দুম্বার মাংস গরীব দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করে প্রভাবশালীদের দেওয়া হয়েছে। গরীব দুস্থদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে যৎসামান্য মাংস পাঠানো হয়েছে।
পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল করিম তারেক জানান, তিনি আড়াই প্যাকেট পেয়েছেন। গত বছরে বরাদ্ধ অনেক বেশি ছিল। গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মওলা জানান, তার ইউনিয়নের জন্য দুই প্যাকেট পেয়েছেন। মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নের জন্য ৩ প্যাকেট পেয়েছেন তিনি। এতিম খানা গুলোতে কিছু মাংস পাঠানো হয়েছে।
দুম্বার মাংস আসার খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন সাংবাদিক দুম্বার মাংসে ভাগ বসান। দুস্থদের মাঝে এ মাংস বিতরণ করার কথা থাকলেও নিয়মানুযায়ী তা বন্টন না করায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে অনেকেই মন্তব্য করেন কার দুম্বা কে খায় ! এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুম্বার মাংস গুলো বিতরণ করা হয়েছে।
চাটমোহরে গাছ কাটার হিড়িক
॥ পদক্ষেপ নেয়নি ইউএনও
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর-অষ্টমনিষা সড়কের জাবরকোল ও পৈলানপুর গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় সড়কের পাশে লাগানো সরকারী গাছ কাটার হিড়িক পরেছে। গত কয়েক দিনে এ সড়কে অন্তত ২০টি গাছ কাটা হয়েছে। হাজার হাজার টাকার সরকারি গাছ কাটার খবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
জানা গেছে, সম্প্রতি পৈলানপুর গ্রামের মৃত সবুর আলীর ছেলে রবিউল করিম ৫টি বড় খেজুর গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, গাছগুলো সোলেমান ব্যাপারী কেটে নিয়ে যান। এছাড়াও এর আশপাশের ১০/১২ টি খেজুর গাছ কাটা হয়েছে।
সরকারী রাস্তার গাছ কেন কাটছেন জানতে চাইলে সোলেমান ব্যাপারী গাছ কেনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে জানান, রাস্তার পাশের জমির মালিক গাছ কেটে ঘর তৈরীর কাজে ব্যবহার করবে। তাবে গাছ গুলো বিক্রি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও মূলত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।