সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকার মৃত সোহরাব আলীর স্ত্রী মাহফুজা বেগম ডলি।
বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম ডলি তার অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, শহরের মির্জাপুর কালুর মোড় এলাকার নারায়ন মিশ্র’র ছেলে সুশান্ত মিশ্র, জয়ন্ত মিশ্র, শুভ, বিশ্ব রোড এলাকার মৃত মেঘা মিস্ত্রির ছেলে নিজাম উদ্দীন ওরফে নির্মল ডাকাত, কালুর মোড় এলাকার অক্ষয় ডাকাত, উত্তম বসাকের ছেলে নিপুন বসাক, বালুয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত রুহুর আমিনের ছেলে মো. সামিউল, উপশহর এলাকার মিঠুনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন দীর্ঘদিন ধরে কালুর মোড় এলাকায় ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনে মাদকের ব্যসবা ও ছিনতাই করে আসছে। তারা এলাকায় একটি অপরাধী চক্র গড়ে তুলেছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে সুশান্ত মিশ্র। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ও এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তারপরও তারা বীরদর্পে এলাকায় মাদকের ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, গত ১৫-০৩-২০১৫ তারিখ বিকেল আনুমানিক ৪টায় সময় আমার ছেলে মোহাম্মদ আলী সোহাগ বাড়ী ফেরার সময় কালুর মোড় এলাকায় মসজিদের সামনে একাকী পেয়ে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার পকেটে থাকা ৫৫ হাজার টাকা, একটি সেমফনি মোবাইল সেট ও ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে আমি ও আমার মেজো ছেলে মো. পলাশ, স্বাক্ষী মিলন ও বিপ্লব ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের কাছে ছিনিয়ে নেয়া দ্রব্যাদি ফেরত চাইলে তারা আমাকে আঘাত করে ও শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ ব্যাপারে কোন মামলা করলে আমার বংশ শেষ করে দিবে মর্মে হুমকি দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমার ছেলেকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতাল ও পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে আমার ছেলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনার দিনই আমি ৯ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করতে গেলে অদ্যাবদি থানায় কোন মামলা গ্রহণ করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যেখানে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্ছার সেখানে কিছু অপরাধী চক্র কিভাবে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট কারর জন্য সরকারী ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ?
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম ডলি বলেন, বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের লোকজনসহ স্বাক্ষীরা চরম নিরাপত্তাঞনিতায় ভূগছি। উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন তিনি।