চাটমোহর মুনিয়াদিঘী কৃষি কলেজে চলছে উন্মুক্ত নকল
জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা) :
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালে মুনিয়াদিঘী কারিগরি কৃষি কলেজের অনুষ্ঠিতব্য ১ম, ৩য়, ৫ম, ৭ম পর্বের বোর্ড সমাপনী পরীক্ষা চলছে। হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গেটে তালা বদ্ধ করে ৩য় ও ৭ম পর্বের মাঠ ফসলের চাষাবাদ-২ (কোড-২৪৩১), খাদ্যপক্রিয়াকরণ-২ (কোড-২৪৭২) বিষয় পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উন্মুক্ত নকলের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীরা বই এর পাতা কেটে বেঞ্চর উপর রেখে প্রশ্নের উত্তর লিখছে।
এ সময় (১২:০৫মি.) উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার উপজেলা মৎস কর্মকর্তা দিপক কুমার হলদার কেন্দ্র সচিব ভার প্রাপ্ত আবু শাহিনকে পরীক্ষা চলাকালীন সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। তাদের অনুপস্থিত সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিউটিরত শিক্ষক ও কর্মচারী বলেন সম্ভাবত স্যারেরা ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য হান্ডিয়াল বাজারের মধ্যে গিয়েছেন।
১২টা ৩৫ মিনিটে কেন্দ্র সচিব আসলে তাকে নিচ তলা কেচি গেটে তালা ও উন্মুক্ত নকল চলা সম্পর্কে জানকে চাইলে তিনি বলেন, এভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। তা না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ করাতে পারবে না। আপনারা তো এলাকার সাংবাদিক তাই সত্য কথা বললাম দয়া করে কথাগুলো গোপন রাখবেন। আপনাদের চা, পানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ছাড়াও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নকলসহ চারটি খাতা ধরলো কোন ব্যবস্থা না নিয়ে কেন্দ্র সচিব তা পরীক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেয়। ১২টা ৪০ মিনিটে দিপক কুমার হলদার কেন্দ্রে আসলে তাকে উক্ত বিষয় অবগত করা হয় এবং তার নিকট নকলের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন্দ্র সচিব যা করেছে এটাই ঠিক। এছাড়া তার অনুপস্থিত সম্পর্কে জানকে চাইলে তিনি বলেন, চা খাবার জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা চলাকালিন ডিউটিরত পুলিশ সদস্য সেলিম হোসেন কে দোতারায় বসে মোবাইল ফোনে আলাপন করতে দেখা যায়।
গোপন সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র সচিব ডিউটি অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত নকলের মাধ্যমে পরীক্ষা নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে খুশি রাখার জন্য পরীক্ষার্থী প্রতি ৬৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে বলে ৭ম পর্বের পরীক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম জানান।
প্রকাশ থাকে, চাটমোহর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা দিপক কুমার হলদার ইতোমধ্যেই দূনীতিবাজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাকে অফিসে পাওয়া যায় না।