আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অন্যের জমিতে বাড়ি-ঘড়
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জসদর থানাধীন নয়াগাওয়ের পশ্চিমপাড়া এলাকায় মোঃ মোশাররফ হোসেনের পূর্ব ক্রয় করা জমিতে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জোর-জবরদস্তি করে জায়গা ভরাট করে ঘড় তুলছেন মোঃ রেশমা বেগম (৩৪) ও তার সহযোগীরা। অথচ তিনি নিজেই উল্টো বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জায়গাটির প্রকৃত মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন ও তার ৪ ছেলের বিরুদ্ধে। এমনকি তাদের ২জনের স্ত্রীদের নামোল্লেখ করে চাঁদাবাজী, চূরি ও কাজে বাধাদানের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানায়।ঘটনার সূত্রপাতঃ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে দায়েরকৃত দেওয়ানী মামলা নং-৫৩৬/১৩ ও জানুয়ারী-২০১৪ইং এ দেয়া মামলার রায়ের অনুলিপি সূত্র ও মামলাটির নিয়োগকৃত আইনজীবি এ্যডভোকেট মোঃ তোতা মিয়া সূত্রে জানা যায়, রেশমা (৩৫) ও মমতাজ বেগম (৫০) নামক ব্যাক্তিরা উল্লেখিত মোঃ মোশাররফ হোসেন এর ক্রয়কৃত ও তার ছেলেরা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত এবং তাদেরও ক্রয়কৃত মোট ২৬ শতাংশ জমির একাংশকে দীর্ঘদিন ধরে নিজের দাবী করে আসছে তারা।এরপরে সর্বশেষ ফেব্রুয়ারী-২০১৫ইং তে জোরপূর্বক বালু ও মাটি দিয়ে ভরাট করে টিনের ঘড় ও কল তৈরি করতে থাকেন তারা। এসময় জমি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ও আদালতে বিদ্যমান মামলার উল্লেখিত অনুলিপি নিয়ে বাধা দিলেও বাধা উপেক্ষা করেই তারা কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এমতাবস্থায় ২৬ শতাংশ জায়গার প্রকৃত মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ফেব্রুয়ারীর ১৮তারিখে (২০১৫) মুন্সীগঞ্জ সদর থানা’য় একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এর পরে মাত্র একদিন পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করতে গেলেও দৃশ্যত আর কোন পদক্ষেপ নেননি তারাঘটনাস্থলে গত ২০/৩/২০১৫ইং তারিখে সরেজমিনে গিয়ে
দেখা যায় চলমান মামলা ও কিছুদিন পূর্বে থানায় অভিযোগপত্রে উল্লেখিত বিবাদী রেশমা (৩৫) ও মমতাজ বেগম (৫০) ঐ জায়গায় ৩-৪ জন শ্রমিক দিয়ে টিনের দুটি ঘড় ও কল তোলার কাজ পরিচালনা করছেন। এসময় সাংবাদিক পরিচয়ে ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন তারা। উল্লেখিত ২৬ শতাংশ জায়গার প্রকৃত মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন এর বাসায় গিয়ে দেখা যায় উল্লেখিত দখলদাররা তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই ভয়ে ভীত হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন জায়গার প্রকৃত
মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন ও তার ৪ ছেলে সহ
২পুত্রবধুরা।
ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানেই সামনে পড়েন সদর
থানার এস.আই বিকাশ চন্দ্র ও তার নেতৃত্বে একটি দল।
তার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি
জানান তিনি দখলদার রেশমা বেগম এর থানায় দায়ের করা
অভিযোগটি তদন্ত করতে এসেছেন। এ ব্যাপারে এখন
তিনি কিছুই বলতে পারবেননা।