চিরিরবন্দরে নাড়া পুড়িয়ে পটাশের অভাব পূরণ
রাণীরবন্দর ;দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ১২টি ইউনিয়নে রোপা আমনের নাড়া পুড়িয়ে জমির পটাশের ঘাটতি পূরণ, প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষতিকর পোকা দমন ও বালাইনাশক পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসে রোপা আমন কাটার পর ক্ষেতে অবশিষ্ট নাড়া পরে থাকে। এ নাড়ায় বাসা বাঁধে বাদামী গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা), চুংগি ও পাতা মোড়ানো পোকা। এ সব ক্ষতিকর পোকা ধানের নাড়ায় বংশ বিস্তার করে। ডিম ও লার্ভায় ভড়ে দেয়। কৃষকেরা জমিতে হাল চাষ করে জমিতে বোরো চাষ করে। কিন্তু ডিম ও লার্ভার কোন ক্ষতি হয় না। জমিতে বোরো চারা লাগানোর পর পাতা সবুজ হয়ে উঠলে পোকা ধান গাছে আশ্রয় নেয় এবং ফসলের ক্ষতি করে। আর এ পোকা দমনে প্রতি বছর কৃষক কীটনাশক প্রয়োগে করে অতিরিক্ত খরচ করে। কৃষি বিভাগ নাড়া পোড়ানো উৎসব শুরু করেছে। প্রতিদিন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সাথে নিয়ে দল বেঁধে নাড়া পোড়াচ্ছেন। আলোকডিহি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন, উত্তর পলাশবাড়ী গ্রামের চিত্র রায়, সাতনালা জোত গ্রামের ইউনুস আলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি বিভাগ ও মাঠ পর্যায়ে তাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের সার্বক্ষনিক সাথে থেকে উৎসাহ প্রদান করছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, রোপা আমন কাটার পর ক্ষেতে অবশিষ্ট নাড়া পোড়ানোর ফলে বাসা বাঁধা বাদামী গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা), চুংগি ও পাতা মোড়ানো পোকা একেবারে ধ্বংস হয়ে যায় এবং পোড়ানো নাড়ার ছাই জমিতে পটাশ সারের কাজ করে। কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না বলে অতিরিক্ত খরচ কমে যায় এবং ধানের ফলন বেড়ে য়ায়।