বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০১৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » ৪৫ বছর পরও স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিতর্ক কেন?
৪৫ বছর পরও স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিতর্ক কেন?
পক্ষকাল ডেস্কঃ ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়নি।
বাংলাদেশে আজ স্বাধীনতার বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।
৪৫ বছর পরও স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে এদেশের সমাজে, রাজনীতিতে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।
কিন্তু একটি দেশের স্বাধীনতার এত বছর পরও যে বিতর্ক চলছে, তার অবসান কোথায়?
বিশেষ করে যে দলটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল, সেই আওয়ামী লীগের ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে, মূলত তারাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এখনো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির তকমা জুড়ে দেয়।
কেন এতদিন পরও এই বিতর্ক- এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে আওয়ামী লীগ নেতা নুহে আলম লেনিন বলছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করার পর স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার পাশাপাশি যেসকল মৌলিক অধিকারের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেগুলো সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, যে আত্ম পরিচয়ের জন্য পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল, সেই ‘বাঙ্গালী’ পরিচয়টিও মুছে ফেলা হয়।
মিস্টার লেনিন বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছিল, তাদেরকে নিয়েই মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়া হয়।
এসব কিছুর মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার ইতিহাস ও আওয়ামী লীগের অবদান বিকৃত হয় বলে উল্লেখ করেন এই নেতা।
তার মতে, যেসব সামরিক শাসকদের সংবিধান সংশোধনের অধিকার ছিল না, সংবিধানে সংশোধনী এনে বিতর্ক তারাই সৃষ্টি করেছেন।
পরবর্তীতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সামরিক শাসন ও সংবিধান সংশোধনকে বেআইনি ঘোষণা করে।
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, সে প্রসঙ্গে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ২৬শে মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপির শাসনামলে এই ইতিহাস বদলে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাধীনতার এত বছর পর কোনও দল বা ব্যক্তির পক্ষে স্বাধীনতার বিপক্ষে যাওয়ার আদৌ কোনও সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নে মিস্টার লেনিন বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ হলেও স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তা হয়ত কিছুটা চলবেই।