বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০১৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ঢাকা ও চটডেস্কঃমে মেয়র নির্বাচন নিয়ে শর্ত দিলেন বিএনপি পেশাজীবী ফোরাম
ঢাকা ও চটডেস্কঃমে মেয়র নির্বাচন নিয়ে শর্ত দিলেন বিএনপি পেশাজীবী ফোরাম
পক্ষকাল দেস্কঃ অধ্যাপক এমাজুদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপি-সমর্থক পেশাজীবী ফোরাম নির্বাচন কমিশনে যান।
বাংলাদেশে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সমর্থক পেশাজীবীদের একটি ফোরাম বুধবার ঢাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করে আসন্ন ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্নে কিছু শর্ত দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের হয়রানি না করা।
তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে তাদের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন নাকচ করে দিয়েছে।
ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় বা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে।
দলটির পক্ষে বরকত উল্লাহ বুলু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের এই নির্বাচন তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
একইসাথে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অনেকেই এই নির্বাচনে তাদের প্রার্থী সমর্থন দেয়া বা অংশ নেয়ার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরে আসছেন।
এমনকি ঢাকায় দু’টি সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিএনপিতে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং মহানগর নেতা আব্দুস সালাম মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রামে কাউন্সিলর পদেও মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন বিএনপির অনেকে।
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ ।
বিএনপি-ঘেঁষা পেশাজীবীদের ফোরাম শত নাগরিক কমিটির নেতা অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের সময় বিএনপির নেতা কর্মিদের হয়রানি বন্ধের নিশ্চয়তা তারা চেয়েছেন।
জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের লাগাতার অবরোধ-হরতালের কার্যকারিতা এখন সেভাবে নেই, যে বিষয়টি বিএনপি নেতাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
অন্যদিকে,দলটির নেতাকর্মীদের অনেকে কারাগারে রয়েছেন।অনেকে রয়েছেন আত্মগোপনে।এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে দলটির অনেক নেতা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ব্যবহার করার পক্ষে রয়েছেন।
কিন্তু বিএনপি এবং তাদের জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতা মনে করেন সরকার এই নির্বাচন দিয়ে তাদের আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে।
তবে সবগুলো পক্ষই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য আটক নেতা কর্মিদের মুক্তি এবং হয়রানি না করার শর্ত তুলে ধরছে।
বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীদের সাথে বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, এমন শর্তের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে আশ্বস্ত করার কিছু নেই।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯শে মার্চ। ফলে মাত্র তিনদিন সময় হাতে রেখে বিএনপিকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
দলটির নেতাদের অনেকে বলেছেন, তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটা প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে এবং তাদের নেয়া ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে কি ধরণের ফল আসতে পারে, সেটা পর্যালোচনা করে দু’একদিনের মধ্যে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।