পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েন : সিইসি
পক্ষকাল প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে এবং পরিস্থিতি বুঝে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।বুধবার বিকেলে ‘বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে আত্মগোপনে থাকা প্রার্থীদের হয়রানি এবং নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, ‘এর আগে বিএনপির ব্যানারে শত নাগরিকের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল এসেছিল এবং আজ বিএনপির পক্ষ থেকেও প্রায় একই দাবি করা হয়। তবে আমরা এবারও তাদের বলেছি, আগামী ১৯ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে সেনাবাহিনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আত্মগোপনে থাকা প্রার্থীদের বিষয়ে কমিশনের কিছুই করার নেই- মন্তব্য করে, কাজী রকিব বলেন, ‘আত্মগোপনে থাকা প্রার্থীদের আমরা প্রকাশ্যে আনতে পারি না। আদালতের মাধ্যমেই তাদের জামিন নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন, অনেক প্রার্থী জেলখানায় থেকে বিজয়ী হয়েছেন। ভালো প্রার্থী হলে ভোটাররা তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে আনেন- এমন নজির অতীতে রয়েছে।’
প্রার্থিতায় অযোগ্য বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আদালতের বিষয়। কারো প্রার্থিতা গেলে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতের নিয়মে চলে। এ ক্ষেত্রে কমিশনের কোনো কথা বলার সুযোগ থাকে না; বলতেও যাব না। কারণ আপিলের তিন দিন সময়ও রয়েছে। সে অনুযায়ী তারা অগ্রসর হবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘হঠাৎ করে নির্বাচন নয়। গত ১২ বছর ধরে আপনারা নির্বাচনের জন্য আমাদের চাপ দিয়ে আসছেন। আমরা বলেছিলাম, এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন করা হবে। এর আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পন্ন হওয়ায় আমরা ১০-১২ দিনের মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছি।’
সিইসি আরো বলেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নন, এমন কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের আগে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কোনো প্রার্থীর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কেবল সেটাই বিবেচনা করা হয়।’