চাটমোহরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক কমল পানীয়
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর উপজেলার সর্বত্র এখন বিক্রি হচ্ছে রকমারী যৌন উত্তেজক কমল পানীয়। আর এই জীবন ধ্বংসকারী যৌন উত্তেজক কমল পানীয়’র ক্রেতা হচ্ছে উঠতি বয়সের কিশোর, যুবক, তরুন থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত। এতে করে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। এই যৌন উত্তেজক পানীয় পান করার ফলে কিডনির রোগ, লিভার সিরোসিস, হৃদরোগসহ শরীরে বিভিন্ন,রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জিনসিন পাওয়ার, ডাবল হর্স, সেভেন হর্স নাম দিয়ে এগুলো বাজারজাত করছেন। চাটমোহর পৌর সদরের বিভিন্ন ফলের দোকান, মুদি দোকান, পান-সিগারেটের দোকানে অবাধে পাওয়া যাচ্ছে এই সব যৌন উত্তেজক কমল পানীয়।
বিশেষ করে পাড়ার গলি-মহল্লার দোকান গুলোতে মিলছে এই সব ক্ষতিকারক যৌন উত্তেজক কমল পানীয়। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাজারে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে এইসব যৌন উত্তেজক কমল পানীয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোন অনুমোদন ছাড়াই পাবনা শহরে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে এইসব যৌন উত্তেজক কমল পানীয় তৈরির কারখানা। একটি সূত্র জানায়, চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নে জিনসিন পাওয়ার তৈরির কারখানা গজিয়ে উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌর সদরের জনৈক এক মুদি দোকানদার জানান, ১৫-২০ টাকা দরে তারা প্রতি বোতল জিনসিন পাওয়ার এবং সেভেন হর্স পাইকারী কিনে থাকেন এবং ৫০-৬০ টাকা দরে প্রতি বোতল বিক্রি করেন।
এছাড়াও উৎপাদনকারীরা মাঝে মধ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। সেই সময় এগুলো ১০০-১৫০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও দোকানদারদের জন্য কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড় থাকে। ১ ডজন জিনসিন পাওয়ার অথবা সেভেন হর্স এর সাথে ১-২ বোতল ফ্রি দেওয়া হয়। আর এতে করে লাভের পরিমান বেশী হওয়ায় দোকানদাররা এগুলো বিক্রি করতে জোর প্রচারণা চালান !
এছাড়া তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা এ ব্যবসা করে থাকেন। চাটমোহরে নতুন বাজার এলাকার জনৈক এক ব্যবসায়ী এগুলো যৌন উত্তেজক কমল পানীয় মজুদ করে বাজারজাত করেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, মানসিক, মাদকাসক্ত ও সেক্স বিশেষজ্ঞ ডাঃ তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, এই সব যৌন উত্তেজক কমল পানীয় সেবনের ফলে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে ও দেহের সকল ইন্দ্রিয়গুলো সাময়িক সক্রিয় করে তোলে। কিছুদিন পরে বোঝা যায় এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। তিনি আরও বলেন, ফেনসিডিলের চাইতেও এগুলো আরও ভয়াবহ আকার ধারন করছে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে উৎপাদিত এ সকল পানীয় বিক্রি দন্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সচেতন মহল এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।