সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » জেলা প্রশাসকের নিদের্শ অমান্য করে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি
জেলা প্রশাসকের নিদের্শ অমান্য করে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি
শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিন্দাহ জেলা প্রতিনিধি ৫ঃ
ঝিনাইদহে নতুন হাটখোলা বাজারে জেলা প্রশাসকের নিদের্শ অমান্য করে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি করা হচ্ছে বলে সরোজমিনে গিয়ে যানা গেছে।গত বুধবার ০১ মার্চ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝিনাইদহ জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও নবনির্বাচিত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ উপস্থিত নতুন হাটখোলা বাজারের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় সিদ্ধান্ত হয় শনিবার,সোমবার ও বুধবার সপ্তাহে গরুর মাংস তিনদিন বিক্রি বন্ধ থাকিবে এবং মুরগি বিক্রি সপ্তাহে সোমবার বন্ধ থাকিবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারন করে দেওয়া হয়।সরেজমিনে শনিবার সকালে নতুন হাটখোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়,মুরগী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন,মোঃ চয়ন হোসেন,মহিদুল ইসলাম,মশিউর রহমানের দোকানসহ সকল পোল্ট্রি মুরগীর দোকানে ১৫০/১৫৫ টাকা কেজি দরে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি হচ্ছে।এতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আদেশ অমান্য করা হচ্ছে বলে বাজারের ক্রেতা ও ব্যবসায়ী মহল মনে করেন। গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের আদেশ মান্য করেই সপ্তাহে তিনদিন বন্ধ রাখার সুযোগে মুরগি ব্যবসায়ীরা বেশী মুনাফায় মুরগী বিক্রি করছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। গরুর মাংস ব্যবসায়ী খলিল গাজী,জয়নাল,তৌফিক,রাজন,রাজ্জাক,আবজাল ও মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়,জেলা প্রশাসক মহোদয় যে নিদের্শ আমাদের দিয়েছেন সেই নিদের্শ মান্য করেই আমরা গরু মাংস ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছি।তারা বলেন তিনদিন গরুজবাই বন্দ থাকার সুযোগে মুরগী ব্যবসায়ীরা ডিসি স্যারের আদেশ অমান্য করে বেশী দরে মুরগী বিক্রি করছে।বাজার নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে।গরু ব্রবসায়ীরা বলেন, একযোগে সারা বাংলাদেশে সপ্তাহে একদিন গরু জবাই বন্ধ থাকলে গরু বাজবে এবং দাম নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।
সরেজমিনে ঝিনাইদহ শহর থেকে চার কিলো মিটার দুরে নগর বাতান বাজারে গিয়ে দেখা যায়,সেখানে প্রতিহাটের দিনে ১/২টি গরু জবাই হতো ,সেখানে প্রতিদিন ৭/৮টি গরু জবাই হচ্ছে।ক্রেতারা এক বাজার বন্ধ থাকলে অন্য বাজাওে চলে যায় এবং সেখানে বেশী দামে মাংস বিক্রি হয়।তাই ব্যবসায়ীরা বলেন একযোগে সপ্তাহে একদিন বন্ধ করলে গরু বাজবে এবং দামও বৃদ্ধি পাবেনা ।
নতুন বাজারের মরগী ত্রেতা ডাঃ বিটু, খায়রুল ইসলাম,শফিকুল আলম ও নুর জাহান বেগম বলেন,পোল্ট্রির দাম কম থাকায় সবশ্রেনীর মানুষই মাংস খেতে পারতো এখন বাজারে এসে ১৫০/১৫৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।এতা দাম বৃদ্ধি পেলে গরীবেরা মাংস কিনে আর খেতে পারবেনা।মুরগী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, আমাদেরকে বেশী দামে মুরগী কিনতে হচ্ছে যার কারনে বেশী দামে বিক্রি করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।আদেশ মানতে হলে আমরা মুরগী ব্যবসায়ীরা লস গুনতে হবে।
উল্লেখ্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নিদের্শ মেনে বিএসএফ জওয়ানরা বাংলাদেশের গরু পাচার বন্ধ করে দেওয়ায় বড় ধরনের গরুর মাংসের অভাবের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।আর গরু পাচার বন্ধের কারনে ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার আয়ের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হনে ভারত।প্রতিবছর ভারত থেকে প্রায় ২৫ লাখ গরু বাংলাদেশে পাচার হয় সীমান্তরক্ষীদের সাথে লেনদেনের বিনিময়ে।ভারতের গরুর ওপর ভিক্তি করে বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকার গরুর মাংসের প্রক্রিয়াজাতকরন শিল্প গড়ে উঠেছে। নিয়মিত ভারতীয় গরুর মাংস খাওয়ার সাম্যর্থ খুব কম বাংলাদেশীরই আছে। তারা উৎসবাদিতে গরুর মাংস খেয়ে থাকে।ভারতীয় গরুর মাংস প্রক্রিয়াজাত করনে শেষে উপসাগরীয় দেশগুলোতে রফতানি হয়।বাংলাদেশের ভারত সীমান্তের প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানদের উদ্দেশ্যে গত বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী রাজনাথ বলেন,আমাকে বলা হয়েছে যে বিএসএফের কড়া নজর দারিতে গরু পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ায়র পর বাংলাদেশের সম্প্রতি গরুর মাংসের দাম ৩০ভাগ বেড়ে গেছে।আপনারা নজর দারি আরো বাড়িয়ে দিন যাতে গরু পাচার পুরোপুরি রন্ধ হয়ে যায় এবং বাংলাদেশের গরুর মাংসের দাম আরো ৭০/৮০ শতাংশ বেড়ে যায় যাতে বাংলাদেশের মানুষ গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়।