বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৫
প্রথম পাতা » » ভোট পড়েছে ৪৪%, বাতিলের খাতায় সোয়া লাখ
ভোট পড়েছে ৪৪%, বাতিলের খাতায় সোয়া লাখ
পক্ষকাল ডেস্কঃ কে ন্দ্র দখল ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হয়েছে, তাতে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
এর মধ্যে ৪.৫৬ শতাংশ ভোটই বাতিল হয়ে গেছে ঠিকমতো সিল না মারাসহ বিভিন্ন কারণে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হয়। তিন সিটিতে মোট ভোটার ছিলেন ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৬ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তারারা বুধবার ভোরে ভোটের যে ফল প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায় তিন সিটিতে মোট ভোট পড়েছে ২৬ লাখ ৪৮ হাজার ২০৫টি। এই হিসাবে ভোট পড়ার হার ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে এর মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার ৩টি ভোট বাতিল করেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
তিন সিটিতেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। প্রায় তিন লাখ থেকে সোয়া তিন লাখের মধ্যে ভোট পেয়ে তিন সিটিতেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীরা, যারা ভোট চলার মধ্যেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন।
আর ভোটের সংখ্যার হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ অংক নিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘বাতিল ভোট’। তিন সিটির ফলাফলেই দেখা গেছে এ চিত্র।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন।
সব ক’টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, এ করপোরেশনে মোট আট লাখ ৭৪ হাজার ৫৮ জনের ভোট বাক্সে পড়েছে, যা মোট ভোটের ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এখানে বাতিল হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৮১ ভোট।
ঢাকা দক্ষিণে মোট ভোটার ছিলেন ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। ৮৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৮৬ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গোলযোগের কারণে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
ঘোষিত কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা যায়, মোট ভোট পড়েছে নয় লাখ পাঁচ হাজার ৪৮৪টি, যা মোট ভোট সংখ্যার ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এর মধ্যে ৪০ হাজার ১৩০টি ভোট বাতিল হয়েছে; বৈধ হয়েছে আট লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৪টি ভোট।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯টি ভোটের মধ্যে আট লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি ভোট বাক্সে পড়েছে। ভোট পড়ার হার ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
চট্টগ্রামে বাতিল হয়েছে ৪৭ হাজার ২৯২টি ভোট; আর আট লাখ ২১ হাজার ৩৭১টি ভোট বৈধতা পেয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব শামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাধারণত ব্যালট পেপারে একাধিক প্রতীকে বা নির্ধারিত ঘরের বাইরে সিল মারা হলে, ব্যালট পেপারে কিছু লেখা বা ছেঁড়া হলে, ভাঁজ যথাযথ না হলে এবং কালি ছড়িয়ে পড়ার মতো বেশ কিছু কারণে ভোট বাতিল হতে পারে।
“অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোট বাতিল হয় ভোটারদের অসচেতনতার কারণে। অতীতের নির্বাচনগুলোতেও ১ থেকে ২ শতাংশ ভোট বাতিল হতে দেখা গেছে।”
এবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে আগের নির্বাচনের চেয়ে ভোটের হার বাড়লেও চট্টগ্রামে কমেছে।
২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনে পড়ে ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট।
ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার মেয়র পদে ভোট পড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। এ নিয়ে আমাদের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির বিষয় নেই। আমরা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছি, ভোটার-নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে মত দেবেন।”