অভিজিৎ হত্যায় আল-কায়দার দায় স্বীকার
২০১৫ মে ০৩
পক্ষকাল ডেস্ক : সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়দা আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশীয় শাখা দুই মাস আগে ঘটে যাওয়া এ হত্যাকান্ডের দায়ভার নিয়েছে বলে এসআইটিই নামক গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
রোববার বিকেলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআইটিই গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংখ্যালঘুদের ‘জিহাদি ফোরাম’ নামের এক ওয়েবসাইটে গতকাল শনিবার পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় আল-কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশীয় শাখার প্রধান আজীম উমর ঘটনার দায় স্বীকার করেন।
ভিডিও বার্তায় আজীম উমর এই হত্যাকে ইসলামের অবমাননাকারীকে হত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তবে রাব এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেনা যে ঘটনাটি আল-কায়দা ঘটিয়েছে নাকি অন্য কোন জঙ্গী গোষ্ঠী। তবে র্যাব বলছে, অভিজিৎ রায় হত্যার পেছনে যদি আল-কায়দা থেকে থাকে তবে ব্লগার রাজীব হায়দার এবং ওয়াশিকুর রহমান হত্যার পেছনেও তাদের হাত থাকতে পারে।
এদিকে টুইটার একাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশী জঙ্গী গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একইভাবে অভিজিৎ রায় হত্যার দায় স্বীকার করেছিল। পুলিশ অবশ্য সেই টুইটার একাউন্টটি যাচাই করে এখন পর্যন্ত কোন সত্যতা পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ‘মুক্তমনা’ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এবং লেখক অভিজিত রায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে সস্ত্রীক দেশে ফিরেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কয়েকজন তাকে কুপয়ে জখম করে। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেই দিনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিজিত মারা যান।
এ ঘটনায় গত মার্চ মাসের ২ তারিখে শফিউর রহমান ফারাবী নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করে র্যাব। পরবর্তীতে বাংলাদেশী জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-৭ এই হামলার দায় স্বীকার করে টুইট করে অনেকবার।
সেখানে বলা হয়, ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধ করার জন্য পাল্টা এই দুর্ব্যবহার পেতে হল অভিজিৎকে। এছাড়া তারা আরও বলেছে, অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় আইএসআইএস-এর উপর চালানো আমেরিকার হামলার প্রতিশোধ হিসেবেও তাকে হত্যা করা হয়েছে।