শুক্রবার, ৮ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » » ক্যামেরনই থাকলেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায়
ক্যামেরনই থাকলেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায়
ওয়েভ ডেস্কঃ
যুক্তরাজ্যে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারে থাকছে কনজারভেটিভ পার্টি
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আরও পাঁচ বছর যুক্তরাজ্যের শাসন ক্ষমতায় থাকছেন ডানপন্থী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ক্যামেরন।
পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৬৪৩টি আসনের যে ফলাফল এসেছে, তাতে কনজারভেটিভ পার্টি ৩৩১টিতে জয় পেয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ভোটের পর কঠিন একটি রাত কাটিয়েছে লেবার পার্টি, যেখানে শ্যাডো চ্যান্সেলর এড বলস নিজেও হেরে বসেছেন। বিরোধী দলে থাকা লেবার পার্টি এবার পেয়েছে ২৩২ আসন।
৫৬টি আসনে জয় পাওয়া স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) স্কটল্যান্ড থেকে লেবার পার্টিকে একপ্রকার নির্মূলই করে দিয়েছে। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটসরা ৮টি এবং ২৩টি আসনে অন্যান্য দল জিতেছে।
নিয়ম অনুযায়ী নিরঙ্কুশ জয়ের জন্য ৩২৬ আসন দরকার হলেও পার্লামেন্টে আয়ারল্যান্ডের সিন ফিনের চারটি আসন এবং স্পিকারের ভোট থাকে না বলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কর্যত ৩২৩ আসনই যথেষ্ট।
কনজারভেটিভরা এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রশাসন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩২৬ আসন পেয়ে গেছে। তার মানে হচ্ছে, তাদেরকে এখন কোনো জোট গড়তে হবে না বা সরকার গঠনের জন্য কোনো দলের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
বিপুল ভোটের এ জয় কনজারভেটিভ দলের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাই “কয়েক প্রজন্মের মধ্যে দলের জন্য এটি মধুরতম বিজয়” বলে পার্টির সদরদপ্তরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছেন উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
“আজ সত্যিই জয়ের আনন্দ উপভোগের রাত। আমরা আবারো দেশসেবার সুযোগ পাচ্ছি এই ভেবে আনন্দ করা, গর্ব করার সময়,” বলেন ক্যামেরন।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিরে এসে এক ভাষণে এরই মধ্যে জয় ঘোষণা করেছেন ডেভিড ক্যামেরন। প্রতিদ্বন্দ্বী দল লেবার নেতা এড মিলিব্যান্ডও ফোনে ক্যামেরনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দলের হতাশাজনক ফলাফলের পর লেবার নেতা মিলিব্যান্ড এবং লিব-ডেমসের প্রধান নিক ক্লেগ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর।
ক্যামেরন নির্বাচনের আগে মিলিব্যান্ডের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে ভোটারদেরকে বলেছিলেন, তিনি স্কটিশ জাতীয়তাবাদীদেরকে ইংল্যান্ডের সম্পদের চাবি দিয়ে যুক্তরাজ্যকে পঙ্গু করে ফেলতে পারেন।
কিন্তু ভোটে ক্যামেরনের দলের বিস্ময়কর ফলের পরও স্কটল্যান্ড ইস্যু এবং ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ইস্যুতে বিরাজ করছে দীর্ঘমেয়দি অনিশ্চয়তা।
স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ওয়েস্টমিনস্টারে তৃতীয় বৃহৎ দল হিসাবে আবির্ভূত হওয়ায় ক্যামেরনের নতুন পাঁচ বছরের মেয়াদে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের দাবি নতুন করে উস্কে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওদিকে, ইইউ’য়ে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ প্রশ্নে ক্যামেরন আবারো গণভোট করার প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে দিয়েছেন।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ক্যামেরন এ প্রতিশ্রতি পূরণ করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে ২০১৭ সালে গণভোটের মুখোমুখি হতে হবে যুক্তরাজ্যকে।
ক্যামেরন চান ইইউ’য়ে যুক্তরাজ্যে থাকুক। তবে তা হতে পারে কেবলমাত্র তিনি ব্রাসেলসের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নিয়ে পুনরায় আলোচনা করতে সক্ষম হলেই।