শনিবার, ৯ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর » পার্বতীপুরে চালক সংকটের কারণে ডেমুসহ ২২ ট্রেন বন্ধ
পার্বতীপুরে চালক সংকটের কারণে ডেমুসহ ২২ ট্রেন বন্ধ
মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রেনের চালক সংকটের কারণে ডেমুসহ ২২টি ট্রেন বন্ধ রয়েছে। রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় লালমনিরহাট-পাকশী ডিভিশনের আওতায় বৃহত্তম চার লাইনের জংশন পার্বতীপুর রুটে চালক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
এই রুটে ৩৬ জন চালকের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ চালক। আর স্বল্পসংখ্যক চালক দিয়ে ১৮টি ট্রেন পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে সহকারী চালক দিয়ে।
চালকের অভাবে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে পার্বতীপুর-লালমনিহাট ও পার্বতীপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে চলাচলকারী দু’টি ডেমু ট্রেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়েছে ২০টি ট্রেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে চালক সংকটের কারণে আরো কয়েকটি ট্রেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
দেশের বৃহত্তম চার লাইনের জংশন পার্বতীপুর লোকোশেডের অধীনে আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, নীলসাগর, রুপসা, তিতুমীর, সীমান্ত, বরেন্দ্র, উত্তরা এক্সপ্রেস, কাঞ্চন এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, দোলনচাঁপা, উত্তরবঙ্গ মেইল, রকেট মেইল, রমনা মেইলসহ আপ-ডাউন মিলে বর্তমানে ১৮টি ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া রয়েছে মালবাহী, তেলবাহী ও রিলিফ ট্রেন। এসব ট্রেন চালাতে সংশ্লিষ্ট লোকোশেড চালকসহ ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়।
ট্রেন চালক সানোয়ার হোসেন জানান, বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ধীরে ধীরে চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। ফলে ট্রেন পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর লোকোশেডের ইনচার্জ আবদুল মতিন সাংবাদিকদের জানান, তার শেডে ৩৬ জন চালকের জায়গায় কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। অথচ সবক’টি ট্রেন চালাতে প্রতিদিন ২২ জন চালকের প্রয়োজন। ৮ জন চুক্তিভিত্তিক চালক থাকলেও আগামী ১৬ জুন তাদেরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অবসরে যাবেন তার শেডের আরো দু’জন চালক। ফলে ছুটি পর্যন্ত পাচ্ছেন না চালকরা। ছুটি দিলেই ট্রেন বন্ধ রেখে দিতে হবে। একেকজন চালক প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি করছেন। এরই মধ্যে দু’টি ডেমু ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে চালক সংকটে আরো কয়েকটি ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।