চলনবিলে শ্রমিক সংকট : ধানের দাম নেই
জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা) :
শ্রমিক সংকটের মধ্যে দিয়ে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলের অধ্যুষিত উপজেলাগুলোতে বোরো কাটা শুরু হয়েছে। কালবৈশাখীর দুর্যোগ, শ্রমিক সংকট নিয়ে কৃষকরা সোনালী ফসল গোলায় তুলতে শুরু করেছেন। ধানের দাম না থাকায় আরও বেশি হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা। এ অঞ্চলে নতুন ধানের দাম ৫’শ ৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা। তাছাড়া নতুন ধানের চাহিদাও কম। এদিকে প্রতি বছরই বাড়ছে খরচ।
অপরদিকে কমছে ধানের দাম। আবার কালবৈশাখী ঝড়ে আবাদের কিছুটা ক্ষতি হলেও ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছে না। যার ফলে সোনালী ধান মাঠ থেকে উঠানে উঠতে শুরু করলেও আনন্দের ছাপ নেই কৃষকের চেহারায়। বোরো আবাদ একেবারে সেচ নির্ভর হওয়ায় এবং শ্রমিক খরচ বেড়ে গেলেও কমেছে ধানের দাম। বিশেষ করে, চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গুরুদাসপুর, সিংড়া, তাড়াশ, আত্রাই, উল্লাপাড়া উপজেলার আশপাশ এলাকার ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ১’শ ৪০ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেড়েছে ৮’শ ৯০ হেক্টর।
চলনবিলে বোয়াইলমারী গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, মিনিকেট ধানের ফলন বিঘায় ১৫ থেকে ১৮ মন। আঠাশ জাতের ধানের ফলন বিঘায় ১৮ থেকে ২৫ মন। হলুদ বরণ ধান ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে আছেন এ এলাকার কৃষকেরা। এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলম জানান, বোরো ধানের ফলন তুলনামুলক ভালো হয়েছে। তবে দাম বাড়লে কৃষক লাভবান হতে পারবো।