আ’লীগ থাকলে দেশ বেঁচে থাকবে: সাজেদা চৌধুরী
২০১৫ মে ১৬ নিলুফার ইয়াসমিন : আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে। অন্যথায় স্বধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করে দেশকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে নগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ আছে। আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে না পারলে দেশের জাতীয়তাবাদ থাকবেনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ টিকে থাকবেনা।
এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই বেগম জিয়া দেশে অরাজকতা শুরু করেছেন। মানুষ হত্যা করেছেন। এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোর্টে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরে গেছেন। আগামীতেও খালেদা জিয়া ব্যর্থ ও পরাজিত হবে।
এ সময় আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আরেকটি পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা করেছে জিয়া ও মোস্তাক। জিয়াউর রহমান ছিল মুক্তিযুদ্ধের নামধারী স্বধীনতার সবচেয়ে বিরোধীতাকারি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ও ভোটের দল। আমরা বিশ্বাস করি মাছ পানি ছাড়া বাঁচেনা তেমনিভাবে কোন দলও নির্বাচন ছাড়া বাঁচেনা। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী কাজ করেছে। এ জন্যই আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে আসুন। আমরা ফাকা মাঠে খেলতে চাইনা। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ভূল সিদ্ধান্তের কারণেই বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ডের দলে পরিণত হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সিটি নির্বাচন আপনি বর্জন করেন। অন্যদিকে আপনার কাউন্সিলররা শপত গ্রহন করে। এখন তো আপনই বর্জন হয়ে যাচ্ছেন।
মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে খালেদা জিয়া সাতবার জন্ম নিলেও সেই উন্নয়ন করতে পারবেনা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে সকল অর্জন শেখ হাসিনার জন্য। তিনি বলেন, স্বধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে। রাজাকার কমান্ডারদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে স্বধীনতার চেতনাকে ফিরিয়ে আনে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা দক্ষিনের মেয়র সাঈদ খোকন, উত্তরের মেয়র আনিসুল হক প্রমুখ।