রংপুর জেলা পরিষদ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা
পক্ষকাল প্রতিবেদক: রংপুরে সরকারি ৩টি আবাসিক ভবন ও কারাগার হাসপাতালকে বসবাসের অনপুযোগী ঘোষণা করেছে গণপূর্ত বিভাগ। ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক ও কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতাল।জানা গেছে, পরিত্যক্ত ঘোষণার পর ৫০ শয্যার কারাগার হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে সিভিল সার্জনের বাসভবনে সিভিল সার্জনের পরিবার ও স্বাস্থ্য পরিচালক সেখানে ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন। তবে জেলা প্রশাসক দোতলা থেকে এখন নীচতলায় বসবাস করছেন।
গণপূর্ত অফিস সূত্রে জানা গেছে, অনেক আগেই বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন ঝঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এনিয়ে পত্রিকায় রিপোর্টও হয়েছে। গত মাসে দফায় দফায় ভূকম্পনে ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ১২টি ভবন ২৫ এপ্রিল পরিদর্শন করেন জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাহাদুর আলী। তিনি জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের আবাসিক ভবন এবং কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে হাসাপাতালটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
পরে গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক, সার্কেলের তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মো: আমিনুর রহমান খান এসব ভবন পরিদর্শন করে ঘোষিত পরিত্যক্ত ভবনগুলো বসবাসের অনুপোযোগী বলে নিশ্চিত করেন। তাদের আশঙ্কা আবারও দফায় দফায় ভূমিকম্প হলে সেকোন মূহুর্তে ধসে যেয়ে প্রাণহানি হতে পারে। এজন্য আগে ভাগেই তাদেও চিঠি দিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবনগুলোর বয়স দুই শত থেকে এক শত বছরের মধ্যে।
এব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ঝুঁকি নিয়েই পরিত্যক্ত ভবনে থাকতে হচ্ছে। এবিষয়টি তিনি উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছেন বলে জানান।
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্মা রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চিঠি পাওয়ার পরই রোগীদেও হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক ফরিদ আহম্মদের সাথে সাংবাদিকের কতা হলে তিনি জানান, গণপূর্ত থেকে সতর্ক করে দেওয়ার পর তিনি দোতলা থেকে সরে এসে নীচ তলায় বসবাস করছেন। তবে তিনি বিষয়টি জনপ্রশাসনে জানিয়েছেন বলেও জানান।
জেলা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী বাহাদুর আলী বলেন, জেলা প্রশাসকের বাসভবনটির দোতলা সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে তুলতে হবে। বাকি দুটি ভবন ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভাগে নির্মাণ করতে হবে।