প্রধানমন্ত্রীর শান্তির আহ্বানে বিএনপির সাধুবাদ
শান্তির পথে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
একই সঙ্গে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে সংকট নিরসনে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বিকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “গতকাল (সোমবার) এক অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সংঘাত নয়, শান্তি চাই। আমরা তার এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধুবাদ জানাই।”
“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপি আগাগোড়াই দেশে সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতির বিপরীতে শান্তি-সমঝোতা ও সম্প্রীতির রাজনীতির পক্ষে। আমরা কখনো সংঘাত-নৈরাজ্য-হানাহানি-রক্তারক্তির রাজনীতিকে প্রশ্রয় ও সমর্থন দিই না।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।
সরকার সংবিধান স্বীকৃত সভা-সমাবেশ-মিছিল-হরতাল-অবরোধের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে অভিযোগ করে রিপন বলেন, “কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথকে তারা উৎসাহিত করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সুশাসন ও গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়।”
সরকারকে এই পথ থেকে সরে এসে ‘সুস্থ ও স্বাভাবিক’ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বানও জানান তিনি।
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে ধ্বংসের পথ ছেড়ে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সংঘাত নয়, শান্তি চাই। অবনতি নয় উন্নতি চাই। এটাই হোক আপনাদের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।”
আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করে বলেন, “বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা খুন-গুম-মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। বিরোধী মত প্রতিনিয়ত দলিত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের পর মন্ত্রীদের অতিকথন এবং বিরোধী দলের নেতৃত্ব নির্মূল করার প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে।”
দেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপির অবস্থানের কথা তুলে ধরে দলের মুখপাত্র বলেন, “আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ পন্থায় জনগণকে সাথে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে সরকার গঠনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এজন্য সরকারকে বলব, আর কাল-বিলম্ব না করে নির্বাচনের গণদাবির প্রতি সন্মান দেখিয়ে সকলের সঙ্গে সংলাপে বসার উদ্যোগ নিন।”
একই সঙ্গে পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে আটক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানান রিপন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আফজাল এইচ খান, আবদুস সালাম আজাদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আসাদুল করীম শাহিন, শামসুল আলম তোফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।