গুলির বদলা গুলি!
ফলোআপ…
মুন্সীগঞ্জঃ বুধবার সকাল ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের অদূরে মানিকপুরে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবলীগ কর্মী শাহজালাল মিজি (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়। তার তলপেটে দুটি গুলি লেগেছে। তাকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
যুবলীগ কর্মী শাহজালাল মিজির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মুন্সীগঞ্জ সদর থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী অংকন (৩০) এর গুলিতে মিজি আহত হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো ইউনুচ আলী জানান, শহরের মানিকপুর এলাকায় বুধবার দুপুর ২টায় গুলিবিদ্ধ হয়। তবে কারা কেন গুলি করেছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ শাহজালাল ও হামলাকারী অপর যুবলীগের কর্মী অঙ্কনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে শহরের দক্ষিণ কোর্টগাঁও গ্রামের গুলিবিদ্ধ শাহজালাল সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ আওয়ামী লীগে সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গ্রুপের বিরোধের জের ধরে গত বছরের ৩রা সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের মানিকপুরস্থ জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন সড়কে যুবলীগ কর্মী অঙ্কন গুলিবিদ্ধ হয়। অঙ্কন দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
এ ঘটনায় অঙ্কনের বাবা শহরের মানিকপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন ৪ঠা সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক মিথুনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। এরআগের দিন ২রা সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস সমর্থকদের ওপর হামলা ও ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন বিনষ্ট করার ঘটনায় আবু বক্কর সিদ্দিক মিথুন বাদী হয়ে অঙ্কনসহ ৯ জনকে আসামি করে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। অঙ্কন ও শাহজালাল উভয়েই জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পক্ষের কর্মী।
এদিকে, অঙ্কন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর জানতে পারে তাকে যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছিল সেটি ছিল শাহজালালের। এরপর তারা দুইজন একই গ্রুপের হলেও প্রতিশোধের নেশায় উম্মুক্ত হয়ে পড়ে অঙ্কন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ইমদাদ হোসাইন জানান, পুর্ববিরোধ, আধিপত্য বিস্তার কিংবা ভাগাভাগি নিয়ে অঙ্কন ও তার ভাই বাবুর গ্রুপের হামলায় শাহজালাল গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। কোন অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীকে ছাড় দেয়া হবে না বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।