হবিগঞ্জ চুনারুঘাটে স্কুল শিক্ষক বরখাস্থ ঘটনায় তোলপাড়
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ চুনারুঘাটে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শিক্ষক তারা মিয়া খাঁনকে বরখাস্থের ঘটনায় তোলপাড় চলছে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডে। অনতিবিলম্বে নিরাপরাধ ওই শিক্ষককে স্বপদে বহাল না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দিয়েছেন এলাকাবাসি। উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষককে স্কুলে দেরী করে আসার অপরাধে গত ১জুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্থ করেন। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে এলাকায়। মুক্তিযোদ্ধা রহিম খান জানান, গত ২৫ এপ্রিল প্রচন্ড বৃষ্টি ছিলো। এ কারণে সাড়ে ৯ টার স্থলে ১০ টা ১৫ মিনিটে স্কুলে যায় তার সন্তান তারা মিয়া খান। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমানের সাথে তার তর্ক-বিতর্ক বাঁধে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক প্রথমে প্রাপকের নাম বিহীন একটি শোকজ নোটিশ জারি করেন শিক্ষক তারা মিয়ার নামে। এ নোটিশে প্রাপকের নাম না থাকায় শিক্ষক তারা মিয়া এর কোন জবাব দেন নি। এরপর গত ১৬ মে আরো একটি শোকজ নোটিশ জারি করা হয় তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ২১ মে স্মারক নম্বর বিহীন ৩য় নোটিশ জারি করা হয়। আর এতেই বরখাস্থ করা হয় তারা মিয়াকে। শিক্ষক তারা মিয়া খান বলেন, ২০১৩ সালে কালিশিরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জুনিয়র স্কুলে রূপান্তরিত হয়। গ্যাজেট প্রকাশের আগেই ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে কেন অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে এ সূত্র ধরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে মত বিরোধ দেখা দেয় তার। তিনি বলেন, স্কুলে রক্ষিত অবস্থায় প্রাইমারী সমাপনি পরীক্ষার ১২টি সনদ খোয়া যাওয়ার বিষয় ও ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তিনি। এ কারণে ১৪ মে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী স্কুলে পরিদর্শন খাতায় তারা মিয়াকে বঙ্গবন্ধুর কটুক্তিকারী হিসিবে উল্লেখ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তোলেন। স্কুলের জমি দাতার পুত্র আঃ মন্নাফ বলেন, প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে ছাত্রছাত্রীর কাছে প্রিয় শিক্ষক তারা মিয়াকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।