বুধবার, ১০ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর ও লুটপাঠ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর ও লুটপাঠ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাঠের অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামে। এঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল মুন্সী গং-দের নামে মুকসুদপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে জুয়েল মুন্সী।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝুটিগ্রামে একই বংশীয় আতিয়ার রহমান চাঁন মিঞা মুন্সী’র ছেলে জুয়েল ও গেন্দু মুন্সী’র ছেলে দুলাল মুন্সী’র সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। উভয়ের সাথে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটায় জুয়েল মুন্সী তার আঙ্গিনার সীমানায় টিনের একটি বেড়া দেয়। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ দুলাল মুন্সী তার লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জুয়েল মুন্সীর আঙ্গিনার টিনের বেড়া, বসত ঘর, রান্না ঘর ভাংচুর সহ ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে মালা মাল লুটপাঠ করে নেয়। জুয়েল মুন্সীর অন্যান্য ভাই বোন বাড়ি ঘরে না থাকায় দুলাল মুন্সী গং- তার উপর বার বার সন্ত্রাসী আক্রমন, অত্যাচার, নির্যাতন, ও প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান করতে থাকে। এমতাবস্থায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জুয়েল মুন্সী মুকসুদপুর থানায় দুলাল মুন্সী গং- দের নামে একটি অভিযোগ দাখিল করে। এঘটনায় সরেজমিন পরিদর্শনে স্থানীয় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোহেলের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি একাধিক বার চেষ্টা চালিয়েও কোন মিমাংশায় আসতে পারিনি। এখানে জুয়েল মুন্সী চরম সমস্যা মোকাবেলা করছে। আমি এব্যাপারে প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সহযোগীতায় দুই পরিবারে মধ্যে জায়গা জমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের এই বিরোধ নিরসন চাই। অভিযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষ দুলাল মুন্সী’র সাথে কথা হলে এসকল ঘটনার কথা তিনি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে মুকসুদপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আজিজ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। আশা করছি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে আমরা একটি সামাজিক সমাধান দিতে পারবো। এছাড়া এলাকায় পরবর্তীতে নতুন কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। আমরা আশা করছি পরবর্তীতে দুই পরিবারে মধ্যে আর কোন অনাকাঙ্খিত ঘটবেনা। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা কামনা করেছেন সচেতন মহল।