কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মিটফোর্ডে ভোগান্তি
প্রতিবেদকচার দফা দাবিতে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
আন্দোলনরত কর্মচারীরা আগের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত হাসপাতালের চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড মাস্টার, এমএলএসএস, সুইপার, করণীক, অফিস সহকারীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তাদের এ কর্মসূচির সময় হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকে। জরুরি বিভাগের টিকেট বিক্রিও থমকে যায়।
বিথী নামের চার বছরের এক শিশুকে নিয়ে তার বাবাকে বেলা সাড়ে ১১টার সময় প্যাথলজি পরীক্ষার টাকা জমা দেওয়ার জন্য বহির্বিভাগের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু সেখানে কেউ না থাকায় তিনি টাকা জমা দিতে পারেননি।
বিথীর বাবার মতো অনেককেই এ সময় বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের সামনে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ওই সময় হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে চিকিৎসক ও নার্সদের দেখা গেলেও ওয়ার্ড বয় বা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের উপ পরিচালক আবদুল মজিদ সাংবাদিকদের বলেন, “তারা দায়িত্ব পালন না করলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়াইতো স্বাভাবিক।”
তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন, “রোগীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে কর্মবিরতির সময় প্রতিটি কাউন্টারে চারজনের জায়গায় একজনকে আমরা থাকতে বলেছি। কেউ যদি সেখানে না থেকে আন্দোলনে যোগ দেয়, তাহলে সেটার দায়-দায়িত্ব তার।”
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারও বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত তাদের এই কর্মবিরতি চলবে।
আন্দোলনরত কর্মীদের চার দফা দাবিগুলো হল- কর্মচারীদের আবাসন সমস্যার সমাধান, পোষ্য কোটা থেকে চল্লিশ শতাংশ নিয়োগ, অসুস্থ কর্মচারীদের জন্য আলাদা বিছানা ও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের (সুইপার) আবাসিক ভবন না ভাঙা।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. রেনু মিয়া বলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন ৭৯০ জন। তাদের মধ্যে ৭৩ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকলেও বাকিদের অল্প বেতনের চাকরি করে ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে। তাদের বেতনের একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে বাড়ি ভাড়ায়।
হাসপাতালের পরিচালক জাকির হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আবাসান সমস্যার সমাধান করতে সময় প্রয়োজন। আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, আশা করছি অচিরেই সমাধান হবে।”