ভারতের ঋণ ব্যবহারে কোনো শর্ত নেই : প্রধানমন্ত্রী
পক্ষকাল প্রতিবেদক : সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় দেশটির কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া ২ বিলিয়ন ডলার খরচে কোনো শর্ত নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দশম সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনে বুধবার বিকেলে প্রশ্ন উত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, এই টাকা বাংলাদেশ প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন খাতে ব্যয় করতে পারবে। ঋণের টাকা কোন কাজে ব্যয় করবো সে ব্যাপারে কোনো শর্ত নেই। আমরা আমাদের প্রয়োজনে ব্যয় করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঋণের টাকা কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন প্রকল্পে ব্যবহার করতে পারি। স্বাধীনভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। এ টাকা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যয় করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে উন্নয়নখাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদীর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি যখন হয় তখন অনেকেই বলেছিলো, এটা গোলামী চুক্তি। দেশ বেচার চুক্তি, দাসত্বের চুক্তি। এরকম অনেকেই অনেক কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। আবার এখন দেখি এখন তারা এই চুক্তিকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এটাই মনে হয় আমাদের দেশের রাজনৈতিক চরিত্র। তারা বাংলাদেশে থাকলেও অন্তরে পরাজিত পাকিস্তানের ধ্যান ধারণা। তারা এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলো।
তিনি বলেন, আমরা যখন গঙ্গার পানিবণ্টনের ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তি করি তখনও বিএনপি-জামায়াত নানা কথা বলেছে। পানি আসবে না, পানি নেই। এই পানিতে অযু হবে না। আবার পার্বত্য শান্তি চুক্তি করতে গেলাম তখনো বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। তিনি যখন ফেনীর সংসদ সদস্য আমি তখন বলেছিলাম- তিনি কি বাংলাদেশের সদস্য হবেন, নাকি ভারতের লোকসভার সদস্য হবেন। তখন তিনি (খালেদা জিয়া) আমার উপর খেপে যান। আসলে উপর দিয়ে ঝগড়াঝাটি আর ভেতর দিয়ে তোষামোদী করে কোন অর্জন হয় না। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও স্বাধীন অবস্থান থেকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়। আমাদের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান-নেপাল আরেকদিকে ভারত-বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হলো, তাতে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।
ডা. দীপু মনির এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খুব দ্রুতই ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমরা আনতে পারবো বলে আশা করছি। ভারত-ভুটান-বাংলাদেশ আবার ভারত-নেপাল-বাংলাদেশ এভাবে ত্রিদেশীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে চারদেশের মধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে এবং আলোচনা চলছে।