বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার আহ্বান
বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার আহ্বান বি. চৌধুরীর
২০১৫ জুন ১২ ১৩:০৯:২১ ২০১৫ জুন ১২ ১৫:৪০:০০
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শের মধ্যে নেই। বিএনপি এখন তৃতীয় স্টেজের রাজনীতি করছে। তাদের রাজনীতি এখন সম্পূর্ণ জামায়াতনির্ভর। বিএনপির বাঁচতে হলে জামায়াত নির্ভরতা ছেড়ে আবারও জিয়ার আদর্শে ফিরে আসতে হবে।’
হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মাঈদুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ।
বি. চৌধুরী বলেন, ‘মাঈদুল ইসলাম আজ বিএনপির সঙ্গে নেই। আমিও নেই। অনেকেই জানে না শহীদ জিয়াউর রহমান বিএনপি গড়ার শুরুতে হাতে গোনা দু’একজনের কাছ থেকে অনুদান নিয়েছিলেন। তার মধ্যে মাঈদুল দিয়েছিলেন এক কোটি টাকা। অনেকেই তা জানে না। যে দু’একজন জানে আমি তার মধ্যে একজন।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনীতিকরা অনেক কথা বলেন। কিন্তু লেখেন না। সবাই তো আর শিল্পী হতে পারে না। তাই সবাই লিখতেও পারে না।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রথম প্রথম প্রতিযোগিতা হয়। পরে হয় শত্রুতা। আর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিএনপিকে তিন ভাগে ভাগ করেচেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা এ মহাসচিব।
বি. চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ-জিয়াউর রহমানের বিএনপি। তিনি মানুষের পাশে ছুটে যেতেন। উৎপাদনের রাজনীতি করতেন। মানুষকে ভালবাসার রাজনীতি করতেন। মানুষকে বিশ্বাসের রাজনীতি করতেন। যে কারণে তিনি জনগণের একান্ত মানুষে পরিণত হয়েছিলেন। সবার কাছে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।
দ্বিতীয়ত, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। এ সম্পর্কে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে বেগম জিয়াকে আমি কিছুদিন আগেও প্রশ্ন করেছি, কোথায় সেই জিয়ার আদর্শ? জিয়া রাখাল রাজার মতো সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন। তিনি নিজে কোদাল হাতে নিয়ে পানি সমস্যা দূর করতে খাল কেটেছেন। আপনিতো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় ছিলেন। কেন একটি খালও আপনি কাটেননি? তৃতীয়ত, বর্তমানে জামায়াতনির্ভর বিএনপি। এ বিএনপি তার রাজনীতির তৃতীয় স্টেজে আছে। যদি বিএনপি বাঁচতে চায়, আবার জনগণের দল হতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই জিয়াউর রহমানের আদর্শের কাছে ফিরে যেতে হবে। জিয়ার মতো জনগণের কাছে যেতে হবে। তাহলেই জনগণের মাঝে আবার বিএনপি জেগে উঠতে পারবে।’
অধ্যাপক বি চৌধুরী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন ভাল সেলস ম্যান। তিনি সীমান্ত চুক্তি সমাধান করেছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ। দীর্ঘ ৬৮ বছর পর এতে ৪৭ হাজার মানুষ উপকার পাবে। আর তিস্তা পাড়ের দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ চোখের পানি ফেলছে। সে বিষয়টি তার বিবেচনায় আসেনি। তিনি চুক্তি করেছেন ২২টি। এগুলো আমাদের দেশের জন্য কতটা মঙ্গলজনক তা সময় সাপেক্ষে বোঝা যাবে। জনগণ এখনও জানে না এ সব চুক্তির মধ্যে কী কী শর্ত আছে। এ চুক্তির বিষয় জনগণকে জানাতে হবে। সে জন্য অবিলম্বে এ চুক্তির বিষয়বস্তু সংসদে উত্থাপন করতে হবে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি এ দেশ সফর করেছেন। আমরা জয়ধ্বনী করলাম। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলাম। তিনি আমাদের সামনে হিন্দিতে বক্তব্য রাখলেন। তিনি ভাবলেন কী করে এ দেশের জনগণ হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত। সবাই হিন্দি বলতে ও বুঝতে পারে। তার এ ভাবনাটা ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে যাবেন তখন ভারতের সংসদে বাংলায় বক্তব্য দিতে হবে। তা না হলে ব্যালেন্স হবে না।’
মাঈদুল ইসলামের বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে আলোচনা করেন সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক, বইটির লেখক একেএম মাঈদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
- See more at: http://www.thereport24.com/article/109963/index.html#sthash.s7CmlCKZ.dpuবিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার আহ্বান বি. চৌধুরীর
পক্ষকাল প্রতিবেদক : বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শের মধ্যে নেই। বিএনপি এখন তৃতীয় স্টেজের রাজনীতি করছে। তাদের রাজনীতি এখন সম্পূর্ণ জামায়াতনির্ভর। বিএনপির বাঁচতে হলে জামায়াত নির্ভরতা ছেড়ে আবারও জিয়ার আদর্শে ফিরে আসতে হবে।’
হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মাঈদুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ।
বি. চৌধুরী বলেন, ‘মাঈদুল ইসলাম আজ বিএনপির সঙ্গে নেই। আমিও নেই। অনেকেই জানে না শহীদ জিয়াউর রহমান বিএনপি গড়ার শুরুতে হাতে গোনা দু’একজনের কাছ থেকে অনুদান নিয়েছিলেন। তার মধ্যে মাঈদুল দিয়েছিলেন এক কোটি টাকা। অনেকেই তা জানে না। যে দু’একজন জানে আমি তার মধ্যে একজন।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনীতিকরা অনেক কথা বলেন। কিন্তু লেখেন না। সবাই তো আর শিল্পী হতে পারে না। তাই সবাই লিখতেও পারে না।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রথম প্রথম প্রতিযোগিতা হয়। পরে হয় শত্রুতা। আর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিএনপিকে তিন ভাগে ভাগ করেচেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা এ মহাসচিব।
বি. চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ-জিয়াউর রহমানের বিএনপি। তিনি মানুষের পাশে ছুটে যেতেন। উৎপাদনের রাজনীতি করতেন। মানুষকে ভালবাসার রাজনীতি করতেন। মানুষকে বিশ্বাসের রাজনীতি করতেন। যে কারণে তিনি জনগণের একান্ত মানুষে পরিণত হয়েছিলেন। সবার কাছে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।
দ্বিতীয়ত, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। এ সম্পর্কে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে বেগম জিয়াকে আমি কিছুদিন আগেও প্রশ্ন করেছি, কোথায় সেই জিয়ার আদর্শ? জিয়া রাখাল রাজার মতো সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন। তিনি নিজে কোদাল হাতে নিয়ে পানি সমস্যা দূর করতে খাল কেটেছেন। আপনিতো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় ছিলেন। কেন একটি খালও আপনি কাটেননি? তৃতীয়ত, বর্তমানে জামায়াতনির্ভর বিএনপি। এ বিএনপি তার রাজনীতির তৃতীয় স্টেজে আছে। যদি বিএনপি বাঁচতে চায়, আবার জনগণের দল হতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই জিয়াউর রহমানের আদর্শের কাছে ফিরে যেতে হবে। জিয়ার মতো জনগণের কাছে যেতে হবে। তাহলেই জনগণের মাঝে আবার বিএনপি জেগে উঠতে পারবে।’
অধ্যাপক বি চৌধুরী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন ভাল সেলস ম্যান। তিনি সীমান্ত চুক্তি সমাধান করেছেন। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ। দীর্ঘ ৬৮ বছর পর এতে ৪৭ হাজার মানুষ উপকার পাবে। আর তিস্তা পাড়ের দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ চোখের পানি ফেলছে। সে বিষয়টি তার বিবেচনায় আসেনি। তিনি চুক্তি করেছেন ২২টি। এগুলো আমাদের দেশের জন্য কতটা মঙ্গলজনক তা সময় সাপেক্ষে বোঝা যাবে। জনগণ এখনও জানে না এ সব চুক্তির মধ্যে কী কী শর্ত আছে। এ চুক্তির বিষয় জনগণকে জানাতে হবে। সে জন্য অবিলম্বে এ চুক্তির বিষয়বস্তু সংসদে উত্থাপন করতে হবে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি এ দেশ সফর করেছেন। আমরা জয়ধ্বনী করলাম। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলাম। তিনি আমাদের সামনে হিন্দিতে বক্তব্য রাখলেন। তিনি ভাবলেন কী করে এ দেশের জনগণ হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত। সবাই হিন্দি বলতে ও বুঝতে পারে। তার এ ভাবনাটা ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে যাবেন তখন ভারতের সংসদে বাংলায় বক্তব্য দিতে হবে। তা না হলে ব্যালেন্স হবে না।’
মাঈদুল ইসলামের বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে আলোচনা করেন সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক, বইটির লেখক একেএম মাঈদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।