শনিবার, ১৩ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » মঠবাড়িয়ায় নিউওয়ে ও ইসলামী মালটিপারপাস ৫ হাজার গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও
মঠবাড়িয়ায় নিউওয়ে ও ইসলামী মালটিপারপাস ৫ হাজার গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও
জুলফিকার আমীন সোহেল, মঠবাড়িয়া ॥ নিউওয়ে ও ইসলামী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর নামে দুইটি হায়হায় কোম্পানী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রায় ৫ হাজার গ্রাহকের জমাকৃত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও। পৌর শহরের থানাপাড়া এলাকায় চেয়ারম্যান ¬প্লাজার দ্বিতীয় তলায় এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শাখা অফিস খুলে গত ছয়মাস আগে গ্রাহকদের না জানিয়ে গোপনে অফিস গুটিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুুটি লাপাত্তা হয়ে যায়। ফলে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক তাদের জমাকৃত সমুদয় অর্থ হারিয়ে এখন পথে বসেছেন। এসব গ্রাহক জমাকৃত অর্থের দ্বিগুন লাভের আশায় লক্ষ লক্ষ টাকা ওই দুই কোম্পানীর বরাবরে জমা দেন।
নিউওয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রতারিত একজন গ্রাহক শহরের দক্ষিণ মিঠাখালী এলাকার বাসিন্দা মাওলানা নেছার উদ্দিন আহম্মেদ প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হারিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও অফিস ভবনের মালিক তোফাজ্জেল হোসেনসহ ১৬জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
অভিযোগে বলা হয়, নিউওয়ে ও ইসলামী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ দুইটি প্রতিষ্ঠান গত ছয় বছর ধরে স্থানীয় মানুষের প্রলুব্দ করে অর্থ জমা নেয়। জমাকৃত অর্থ দ্বিগুন হবে এমন আশ্বাসে স্থানীয় প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক এজেন্টদের মাধ্যমে ওই দুই প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা করে। দ্বিগুন লাভের আশায় প্রতারিত গ্রাহক মাওলানা নেছার উদ্দিন নিউওয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই দফায় সর্ব মোট এক লাখ ১২ হাজার টাকা জমা দেন। তার মত অন্য গ্রাহকরা মোটা অংকের টাকা ওই দুই প্রতিষ্ঠানে জমা দেন। কিন্তু গত ছয় মাস আগে গ্রাহকের লভ্যাংশসহ জমাকৃত সমুদয় অর্থ নিয়ে কোম্পানীর অফিস দুটি লাপাত্তা হয়ে গেলে গ্রাহকরা বিপাকে পড়েন। এর মধ্যে নিউওয়ের তিন হাজার গ্রাহক ও ইসলামী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইট লিমিটেডের দুই হাজার গ্রাহক প্রতারণার শিকার হন।
প্রতারিত গ্রাহক নেছার উদ্দিন জানান, তিনি জমি বিক্রি ও আত্মীয় স্বজনের কাছে ধার দেনা করে নিউওয়ে কোম্পানীর নিকট টাকা জমা করেছিলাম। লাভ তো দুরে কথা এখন অফিস গুটিয়ে টাকা মেরে প্রতারকরা পালিয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের ব্যাবসায়ী শাহজাহান জমাদ্দার, হেমায়েত খান ও আব্দুর রহমান মাষ্টাসহ হাজার হাজার গ্রাহক প্রতারিত হয়ে নিঃশ্ব হয়ে পথে পথে ঘুরছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আশরাফুর রহমান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই দুই প্রষ্ঠিানের অফিস ভবনের মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. তাফাজ্জুল হোসাইন বলেন, ওই কোম্পানির কর্মকর্তারা হঠৎ করে অফিস ছেড়ে চলে গেছে। শুনেছি জমাকৃত টাকা কোন গ্রাহকই ফেরত পায়নি।