পুলিশ কনস্টেবল ‘ধর্ষিত’, ‘ধর্ষণকারী’ এএসআই
প্রতিবেদকসাবেক স্বামী এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ঢাকার এক নারী কনস্টেবল।
রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় বৃহস্পতিবার তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে ওই নারী কনস্টেবলের বোন জানিয়েছেন।
ওই নারী পুলিশ সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন।
খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুরো ঘটনাটি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই নারী কনস্টেবল শনিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তার সাবেক স্বামী খিলগাঁও থানার এক সহকারী উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
ওই নারী কনস্টেবলের বড় বোন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চার বছর আগে তার বোনের সঙ্গে ওই এএসআইয়ের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের তিন বছর পর ওই এএসআই ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং ‘আজেবাজে’ কথা বলে বোনকে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছিল। এসব নিয়ে এক বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
ওই ঘটনা নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ওই নারী কনস্টেবল আদালতে মামলা করেছিলেন বলেও জানান তার বোন।
বিচ্ছেদের পর গাজীপুরে মায়ের সঙ্গে থাকেন ওই নারী কনস্টেবল। গত ১০ জুন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তিনি।
তার বোন বলেন, “তার সাবেক স্বামী তা জানতে পেরে তাকে নিজের তিলপাপাড়ার বাসায় নিয়ে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে। পরদিন সে ওই বাড়ির মালিকের সহায়তায় বেরিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হোস্টেলে গিয়ে ওঠে।”
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচ্ছেদের পর ওই পুলিশ দম্পতি পুনরায় বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলে তিনি জানেন।
“মেয়েটি ও তার স্বামী গত বৃহস্পতিবার খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনারের দপ্তরে এসে জানায়, তারা আবার বিয়ে করতে চায়। স্যার বলেছিলেন- পুলিশ তো কারও বিয়ে দেয় না। এটা তোমাদের নিজস্ব বিষয়, তাই নিজেরাই সমস্যার সমাধান করে নাও।”
থানা থেকে ৫০০ গজের মধ্যে তিলপাপাড়ার ওই বাসায় কাউকে আটকে রেখে ধর্ষণের কোনো কথা শোনেননি বলে দাবি করেন ওসি।
“তারপরও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তাদের পুরো ঘটনাটি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।”
নারী কনস্টেবলের বড় বোন জানান, তারা এখনও কোনো মামলা করেননি। বোন সুস্থ হলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।