বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » খালেদার দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৩ জুলাই
খালেদার দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৩ জুলাই
পক্ষকাল প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৩ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবা দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন।
সময়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে মামলার বাদী হারুনুর রশিদ যে সাক্ষী দিয়েছেন তা বাতিল চেয়ে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমাদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হোক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন প্রদান করেন।
দুর্নীতির ওই দু্ই মামলায় ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।