মঠবাড়িয়ায় পাগলী অন্তঃস্বত্তা !
জুলফিকার আমীন সোহেল, মঠবাড়িয়া ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১ নং বড় মাছুয়া বাজারের পাগলী (বেওয়ারীশ মানষিক প্রতিবন্দী) শিল্পী (২৭) ৬/৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা। এই পাগলীর গর্ভের অনাগত শিশুটির পিতা কে? কার পরিচয়ে সে পৃথীবির আলো বাতাস গ্রহণ করবে? সন্তান প্রস্রাবকালে পাগলীকে দেখভালো করবে কে? ওই পাগলীর পক্ষে কি শিশুটিকে লালন-পালন করা আদৌ সম্ভব ? শিশুটি বড় হয়ে কি হবে ? এর উত্তর আমাদের কারো জানা নেই। আমরা সবাই বলবো সৃষ্টিকর্তাই দেখভালো করবেন। পাগলীর এ অবস্থার জন্য যে দায়ী, নিশ্চয়ই সে মুখোশধারী নর পিচাশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় গত ২ বছর ধরে বড় মাছুয়া বাজারে ঘোরা-ফেরা করে। এবং রাত যাপন করতো বাজারের মুচি বাড়ী এলাকার ইউনুচ হাওলাদারের ভবনের পিছনের একটি পরিত্যাক্ত রুমে। স্থানীয়রা জানান, শিল্পীর চলা-ফেরা ছিলো একজন সুস্থ্য মহিলার মতো। দেখতে শুনতে মনেহয় কোন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে অথবা বউ। পার্থক্য এইটুকুই সে বাজারে চলাফেরা করতো ও পরিত্যাক্ত জায়গায় ঘুমাতো। কথা শুনে অনুমান করা যাচ্ছে তার বাড়ী সিলেট জেলার কোন এক গ্রামে। অন্তঃস্বত্তার ঘটনাটি লোকজনের নজরে আসলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে বিভিন্ন সময় তাড়িয়ে দিতো। আবার ৫/৬ দিন পরে এসে হাজির হতো। বর্তমানে তাকে দেখা যাচ্ছে না, হয়তোবা তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না শর্তে ওই এলাকার একাধীক ব্যক্তি জানান,ঘটনাটি বিভিন্ন সময় ঘটিয়েছেন ইউনুচ হাওলাদার (৪৫) ও তার কলেজ পড়–য়া ছেলে আরিফ হোসেন। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেন শিল্পীকে একজন সুস্থ্য নারীর মতো দেখতে। তাছাড়া পাগলী রাতে তার বাসার কাছেই ঘুমাতো। শিল্পী নিজেও ইউনুচের নাম উল্লেখ করে সবার কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন। ইউনুচ ওই এলাকার মৃতঃ আফজাল হাওলাদারের পুত্র।
ইউনুচ হাওলাদার জানান, পাগলীকে (শিল্পী) কে বা কাহারা শিখিয়ে দিয়াছেন আমার নাম বলতে। তাই সে আওয়ামীলীগ অফিস সহ বিভিন্ন জনের কাছে আমার নাম বলে যাচ্ছে। তবে আমি প্রস্তুত আছি পাগলীর বাচ্চা ভূমিষ্ট হলে ডি এন এ পরীক্ষা করা হোক। কে প্রকৃত দোষী ? তখনই প্রমান হবে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র ষঢ়যন্ত্র করছেন। তবে এব্যপারে আরিফের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এঘটনায় নারী বান্ধব সংগঠন জি ডি আর সি সম্প্রতি জোরে সোরে মানব বন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করলেও অজ্ঞাত করনে তা বাস্তবায়ন করেনি সংগঠনটি । এব্যপারে জি ডি আর সি মঠবাড়িয়ার প্রধান কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মমতাজ মুঠোফেনো জানান, বর্তমানে তাদের অফিসিয়াল কাজের চাপ খুব বেশী। লোকজনের সমস্যা আছে। বিষয়টি তাদের মাথায় আছে বলে লাইনটি কেঁটে দেন।
স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা লিলি বেগম পাগলী অন্তঃস্বত্তা স্বীকার করে জানান, এধরনের ঘৃণীতঃ অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের খুজে বের করে শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে এ ধরনের কাজ কেউ করতে সাহস না পায় ।
এব্যপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা রানী জানান, এধরনের ঘটনা যদি হয়ে থাকে তাহলে এটা খুবই খারাপ। এব্যপারে আমি এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।