রেকর্ড জালিয়াতি অভিযোগ
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৩ কর্মচারী জেলহাজতে
এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেকর্ড রুমে জালিয়াতির মামলায় আটক ৩ কর্মচারীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জনসাধারনের ভূমি রেকর্ড বিকৃত করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলা রেকর্ড রুমের প্রধান রেকর্ড কিপারসহ ৩ জনকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ্দ করা হলে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠাবার আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পূরবী গোলদার বাদি হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ দ: বি: আইনের ১৬৭ ও ৪০৯ ধারায় মামলা রেকর্ড করেছে।
আটক ৩ জন হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার কাইটপাড়া গ্রামের অমর কুমার বসুর ছেলে জেলাা রেকর্ড রুমের প্রধান রেকর্ড কিপার অসীম কুমার বসু (৫৬), চরগ্রামের ডা: করিম ডাকুয়ার ছেলে রেকর্ড রুমের অফিস সহকারী ইলিয়াস হোসেন (৫৩), সুলতানপুর গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে রেকর্ড রুমের অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান (৪৯)।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তোজাম্মেল হক জানান, তপশীল অনুযায়ী মামলার অভিযোগ দূর্ণীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন। এ বিষয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদকের খুলনার উপ-পরিচালককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আটক অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওই ৩ জনকে জেল হাজতে পাঠাবার আদেশ দেন।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সারুলিয়া গ্রামের হাসান উদ্দিন খলিফার ছেলে আবু সাঈদ খলিফা গত ২৪ জুন রেকর্ড বিকৃতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে জেলা প্রশাসক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। এরপর প্রধান রেকর্ড কিপারসহ ৩ জনকে সোমবার পুলিশে সোর্পদ করেন।
এদিকে জেলা রেকর্ড রুমের ওই ৩ কর্মচারী আটকের খবর পত্রিকায় জেনে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী মোড় এলাকার মতিয়ার রহমান মোবাইল ফোনে এপ্রতিবেদকে জানান, জেলা রেকর্ড রুমের কর্মচারীরা এমন অনেক ঘটনাই ঘটিয়েছে। জনগনের হয়রানী এখানের প্রতিদিনের ঘটনা ছিল। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী দরখাস্ত করে কাগজ সথা সময়ে পাওয়া না গেলেও বিশেষ সুবিধায় ১ দিনে পাওয়া যেত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে বাগেরহাট জেলা রেকর্ড রুমের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময় অবৈধ পন্থায় জনগণের ভোগ দখলীয় জমি-জমার রেকর্ড জাল-জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। এ বিষয় অন্যান্য অভিযোগ অনুসন্ধান করে দেখলে আরো বেশ কিছু জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়বে বলে সচেতন মহল মনে করে।