শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
রবিবার, ২৬ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » সাঘাটায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির গোপন অপতৎপরতা
প্রথম পাতা » জেলার খবর » সাঘাটায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির গোপন অপতৎপরতা
২৯১ বার পঠিত
রবিবার, ২৬ জুলাই ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাঘাটায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির গোপন অপতৎপরতা

---
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
জেএমবি ক্যাডার সদস্য ফজলে রাব্বি মন্ডলকে জেএমবি’র কিলিং স্কোয়ার্ড কর্তৃক গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাঘাটা উপজেলার জেএমবি অধ্যুষিত এলাকায় আবারও পুলিশ ও র‌্যাবের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে জেএমবি’র প্রয়াত নেতা ছিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইয়ের সাঘাটার শ্বশুর বাড়ির এলাকা আকন্দপাড়া, বসন্তেরপাড়া, শিমুলবাড়ি, বগারভিটা, ছিলমানেরপাড়া, কানাইপাড়া ও হলদিয়াসহ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আবারও জেএমবির গোপন তৎপরতা শুরু হয়েছে।
এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠনের একটি অংশ সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে এলকাবাসির পক্ষ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। ১৬ জন এলাকাবাসি স্বাক্ষরিত এই অভিযোগে সাঘাটা উপজেলায় উগ্রবাদি জঙ্গিবাদের উত্থান প্রতিরোধ ও জঙ্গি ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
উলে¬খ্য, দীর্ঘদিন এলাকা থেকে পলাতক সাঘাটার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বসন্তেরপাড়া গ্রামের সাদাক্কাস আলীর ছেলে জেএমবি ক্যাডার গোপনে ঈদ করতে বাড়ি আসে। সে জেএমবির কর্মকান্ডের একাধিক মামলার পলাতক আসামী এবং এতোদিন ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। ঈদ করতে গোপনে বাড়িতে এলে সে রোববার ২০ জুলাই রাতে নিহত হয়। দুটি মোটর সাইকেলে করে হেলমেট পড়া চার যুবক রিভলবার দিয়ে তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে সেদিন রাতেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার সাথে সেসময় ছিল তার চাচা সাবেক জেএমবি ক্যাডার এনামুল¬াহ মিয়া। তাকে জেএমবির ক্যাডাররা মারপিট করে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় এনামুলাহকে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। সে পুলিশের কাছে এই খুনের সাথে অন্যতম সন্দেহজনক বিবেচিত হলেও নিহত ফজলে রাব্বি মন্ডলের পিতা সাদাক্কাস আলী কর্তৃক রহস্যজনক কারণে তার দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। ওই মামলায় এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী সাজু এবং তার ছেলে রনিবাবু, রাজু মিয়া ও আবু তাহেরকে আসামি করে নির্বাচন সংক্রান্ত গোলযোগে খুন এই অভিযোগে মামলা (নং ১২) দায়ের করা হয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে জেএমবির সংশি¬ষ্টতা আড়াল করতেই নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ এনে পূর্ব শত্র“তা বশত: তাদের নামে এই মামলাটি করা হয়।
এলাকাবাসির অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র শীর্ষ প্রয়াত নেতা ছিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইয়ের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন বর্তমানে কারাগারে অবস্থান করছেন। জেএমবির সাথে সম্পৃক্ততা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নির্মাণের দায়ে উচ্চ আদালত তাকে আজীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। ফাহিমা খাতুন আকন্দপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের দ্বিতীয় মেয়ে। উলে¬খিত এলাকায় গোপনে সংগঠিত হচ্ছে জেএমবি ক্যাডাররা। ফাহিমা খাতুনের পরিবারের লোকজনও এতে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যমুনা নদী সংলগ্ন চর এলাকার বিভিন্ন স্থানে মহিলাদের ধর্মীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উগ্র মৌলবাদি চেতনায় দীক্ষিত করে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।
উলে¬খ্য, বহুমাত্রিক লেখক, বুদ্ধীজীবি হুমায়ন আজাদের অন্যতম খুনি নুর মোহাম্মদ শামীম ওরফে জে এম মবিন ওরফে সাবু ও সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজিব ওরফে তৌহিদ সাঘাটা উপজেলার জেএমবি অধ্যুষিত ওই বসন্তেরপাড়া ও শিমুলবাড়ি এলাকারই অধিবাসি। এ দু’জনার মধ্যে সালাউদ্দিন ওরফে তৌহিদ বর্তমানে সৌদি আরবে পলাতক রয়েছে এবং এরাই গোপন তৎপরতা চালানোর বুদ্ধিদাতা ও অর্থদাতা বলেও উলে¬খ করা হয়।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)