পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত, নিখোঁজ ৫
কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে পাঁচজন। এ ঘটনায় তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের কবরস্থানপাড়ার রাডার এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত মা-মেয়ে হলো কায়রুল আমিনের স্ত্রী জুনু বেগম (২৮) ও তার শিশুকন্যা নীহা মনি (৭)।
পাহাড়ধস থেকে বেঁচে আসতে পারা শাহ আলম বলেন, রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দে পাহাড় ধসে পড়ে। কোনোরকমে স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে বের হয়ে আসেন। কিন্তু এখনো পরিবারের তিনজনের খোঁজ পাচ্ছেন না। পাহাড়ধসে চারটি ঘর মাটিচাপা পড়ে। তার মধ্যে শাহ আলম ও কায়রুল আমিনের দুটি ঘর এবং দুটি ভাড়ার ঘর রয়েছে। ভাড়া ঘরের দুজনকে পাওয়া যাচ্ছে না।
পাহাড়ধসের খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ছুটে আসেন এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এর পরই উদ্ধারকাজে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার দল দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে নুরুন নবীকে (২০) জীবিত উদ্ধার করে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, চারটি ঘর মাটিচাপা পড়েছে। এ পর্যন্ত একজনকে জীবিত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও উদ্ধারে যোগ দিয়েছে পেকুয়া ও চকরিয়া সার্ভিসের কর্মীরা।
কক্সবাজারের ১৬ ইসিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মাহবুবুর রহমান জানান, বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত একটি শিশু ও এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশের এ বিবরণীতে বলা হয়েছে- কক্সবাজার, টেকনাফ ও চট্টগ্রামে যেকোনো সময় অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে ভূমিধস হতে পারে।
এ খবর পেয়ে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা চলে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
পক্ষকাল/ইমরান