শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » সম্পাদক বলছি » গরীবে নেওয়াজ খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির (রহ.) আজমীর শরীফ
প্রথম পাতা » সম্পাদক বলছি » গরীবে নেওয়াজ খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির (রহ.) আজমীর শরীফ
৪৩৫৯ বার পঠিত
রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গরীবে নেওয়াজ খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির (রহ.) আজমীর শরীফ

---
পক্ষকাল ডেস্ক: ভ্রমণ করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায় পাওয়া বড় মুশকিল। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন গোটা বিশ্ব। দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে স্বদেশ মূল্যে ঘুরে আসতে পারেন বিদেশ।

আর এই বিদেশ অন্য কোন দেশ নয়। আমাদেরই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যে দেশের মধ্যে রয়েছে একদিকে মরুভূমি, অন্যদিকে বরফ আচ্ছাদিত পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, জঙ্গল, স্থাপত্য, পুরাকৃর্তি ইত্যাদি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত সম্ভার।

প্রবাদ আছে, ‘সমগ্র ভারত ভ্রমণ করলে পৃথিবীর অর্ধেক দেখা হয়ে যায়’। আর আপনি যদি একজন পর্যটক হিসেবে ভারতে ভ্রমণ করতে চান, তবে তার গোড়াপত্তন ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা উচিত।

উপমহাদেশের অন্যতম পর্যটন ও ধর্মীয়স্থান রাজ্যের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আজমীর শরীফ। একসময় আজমীরই ভারতের একটি রাজ্য নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে যার নাম রাজস্থান রাজ্য। এই রাজ্য ভারতের সবচেয়ে বড়রাজ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে। আল্লাহর ওহী যাঁর ওপর নাজিল হয়েছে তিনি হলেন নবী।

আল্লাহর কেতাব যার ওপর নাজিল হয়েছে তিনি হলেন রাসূল। আল্লাহ মানব জাতির কল্যাণে মানব জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তারা অনেক কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহর বাণী প্রচার করেছেন।

---

হযরত মোহাম্মদ (স.) হচ্ছেন নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ। তাঁর প্রচারিত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। হযরত মোহাম্মদ (স.) সর্ব প্রথম মক্কা, মদীনা শরীফ এবং তার আশেপাশের দেশ গুলোতে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পীর আউলিয়া, বুজুর্গ, ফকির, দরবেশদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয়েছে। এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন আউলিয়া বুজুর্গগণ।

এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রকৃত অর্থে প্রচারিত এবং প্রতিষ্ঠিত হয় ৫৮৩ হিজরীর পরে। হযরত মোহাম্মদ (স.) এর ওফাতের পর সাহাবাগণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করলেও এই উপমহাদেশে পুরোপুরিভাবে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি।

এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তি (রহ.)-এর নাম বিশেষ ভালে উল্লেখযোগ্য। ইসলাম ধর্ম প্রচারের আগে এখানকার মানুষ চরম অন্ধকারে বসবাস করছিল। চারিদিকে চলছিল শুধু অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার।

এই অঞ্চলের মানুষদেরকে এ ধরণের চরম বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তি (রহ.) ভারত বর্ষে আসেন। বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ ছিলেন আল্লাহর প্রেম-প্রীতি এবং ভালোবাসায় সিক্ত একজন মহান সাধক।

মানুষকে সত্য ও সুন্দরের এবং ইসলামের শান্তি বাণীর সন্ধান দেওয়াই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র ব্রত। হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তি (রহ.)-এর ভারত আগমনের ব্যাপারে জানা গেছে ৫৮৩ হিজরীতে তিনি পবিত্র হজ্ব ব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফ যান। মক্কা শরীফ থেকে তিনি মদীনা শরীফে হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর পবিত্র রওজা জিয়ারত করতে যান।

কথিত আছে মদীনা শরীফে নবীজী তাকে স্বপ্নযোগে হুকুম করেন ভারতের আজমীর নামক স্থানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য। মহানবী (স.) তাকে স্বপ্নযোগে আজমীরের পরিচয় দেন। তারপর তিনি আজমীরের উদ্দেশ্য রওনা হন। তিনি আজমীরে আসার আগে এখানকার মানুষ চরম অন্ধকারে বসবাস করছিল। হিন্দুরাজা পৃথ্বিরাজের দাপটে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

ঠিক সেই মুহুর্তে হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তি (রহ.) এর আজমীরে আগমন ঘটে। এই মহান বুর্জুগের আগমণে রাজা পৃথ্বিরাজ ক্ষুদ্ধ হয় এবং বিতাড়িত করার চেষ্টা করে।

শেষ পর্যন্ত খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তি (রহ.) আজমীরে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা করেন। তার ওপর আল্লাহর সাহায্য এবং হুজুর (স.)-এর দোয়া ছিল। যে কারণে অসীম শক্তিশালী অত্যাচারী রাজা পৃথ্বিরাজ তার বিশাল সৈন্য বাহিনী, তান্ত্রিক সাধক এবং আরও অনেক শক্তি প্রয়োগ করেও খাজা গরীরে নেওয়াজের কোন ক্ষতি করতে পারেনি।

শেষ পর্যন্ত খাজা বাবা সমস্ত দুষ্ট শক্তিকে দমন করে ভারতে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করেন তাঁর ব্যক্তিগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং আধ্যাতিœক শক্তির মাধ্যমে মানুষ সহজেই মোহিত হয়ে যেত। তিনি কখনো কাউকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেননি। তিনি ছিলেন খুব উঁচু স্তরের আধ্যাত্মিক সাধক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কঠোর এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। তিনি বহু পীর আউলিয়ার কাছে আধ্যাতিœক শিক্ষা লাভ করেছেন।

তার পীর সাহেব হযরত খাজা ওসমান হারুনী (রহ.)-এর কাছে আধ্যাতিœক জগতের শীর্ষ স্থানে পোঁছানোর শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তিনি দুনিয়ার সমস্ত লোভ লালসাকে ত্যাগ করে আল্লাহর এবাদতে নিয়োজিত থাকতেন। তিনি আল্লাহর এবাদতে এতই মশগুল থাকতেন যে, প্রতিদিন আড়াই হাজার রাকাত নফল নামায আদায় করতেন। সারা বছর রোজা রাখতেন। তিনি কোরানের হাফেজ ছিলেন।

তিনি প্রায় প্রতিদিন কোরান খতম দিতেন। তরিকত ব্যতীত শরীয়ত স্থায়ী হয় না। তাই খাজা গরীরে নেওয়াজ ইসলামের স্থায়িত্বের জন্য এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য ও রাসূল (স.)-এর মোহাব্বত লাভের উদ্দেশ্যে মুসলামানদের জন্য চিশতিয়া তরিকা প্রকাশ এবং প্রচার করেছেন। চিশতিয়া তরিকা মতে মানুষের শরীরে সর্বমোট ১০টি লতিফা আছে।

এই লতিফা গুলো দিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতের শোকর গুজার করতে হয়। নিয়মিত জিকির আজকার করে লতিফাগুলো আল্লাহ তায়ালার রেজা মন্দির উপযুক্ত করতে হয়। মৃত্যু যে কোন সময় আসতে পারে তাই জীবনের প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে যেয়ে তিনি আল্লাহর পবিত্র নামে জিকির করতেন।

নামাজ সম্পর্কে খাজা গরীবে নেওয়াজ বলেন “আল্লাহর প্রেমিকদের তারিকা হচ্ছে ফজরের নামাজ আদায় করার পর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে থাকা এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর প্রিয় দোস্তের সুদৃষ্টি লাভ করা। হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, তিনি ৫৩৭ হিজরীতে ইরানের খোরাসানের সন্জর গ্রামে ১৪ রজব তারিখে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর বাবা সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন (রহ.) ছিলেন একজন ধনী ব্যবসায়ী এবং বুজুর্গ ব্যক্তি। মায়ের নাম বিবি উম্মুল ওয়ারা (রহ.)। হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তি (রহ.) মা-বাবা উভয় দিক থেকে হযরত ইমাম হোসেন এবং হযরত ইমাম হাসান (রহ.) এর বংশধর ছিলেন। তিনি ওলীকূল শিরোমণি হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন। অল্প বয়সে খাজা গরীরে নেওয়াজ তাঁর মা-বাবাকে হারান। ছোটবেলা থেকেই তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য কঠোর সাধনায় মগ্ন ছিলেন। তিনি তিন পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা ছিলেন। তিনি সংসারের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতেন। স্ত্রী-সন্তানদের সঠিকভাবে আদর যতœ করতেন। তিনি আল্লাহর সাধনা এবং দুঃস্থদের সেবার মধ্যে সংসারের যাবতীয় কর্মকা সম্পন্ন করতেন। এই মহান বুজুর্গ ব্যক্তি তার দীর্ঘজীবনে আধ্যাত্মিক সাধনা শেষে ৯৭ বছর বয়সে ৬৩২ হিজরীতে ৬ রজব তারিখে ওফাত প্রাপ্ত হন। ভারতের আজমীরে পবিত্র মাজার শরীফ অবস্থিত। তার পবিত্র মাজার শরীফে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত জেয়ারতের উদ্দেশ্যে আসেন। আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত জেয়ারতের জন্য খাজা বাবার দরবারে যান। ৬ রজব তারিখে আমাদের বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে খাজা বাবার ভক্তরা তার ওফাত দিবস পালন করে থাকে। এই মহান ওলীর উসিলায় আমাদের সবার কল্যাণ হোক এই প্রত্যাশা করি।

কিভাবে যাবেন : আপনার সামর্থ অনুযায়ী ভারত থেকে ট্রেন অথবা বিমানযোগে যেতে পারেন। প্রথমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভারতীয় দুতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে, এরপরে ঢাকা থেকে বিমানে কলকাতা অথবা সরাসরি ঢাকা থেকে বিমানে দিল্লী। কলকাতা অথবা দিল্লী থেকে ট্রেনে আজমীর শরীফ। কলকাতা থেকে প্রতিদিন আজমীরের উদ্দেশ্যে ট্রেন যাচ্ছে। সময় লাগে প্রায় ৩৬ ঘন্টা। আর দিল্লী থেকে ট্রেনে সময় লাগে ৪ ঘন্টা। আজমীর পৌছানোর পর খাদেমদের লজ অথবা হোটেলে ৫০০-১০০০ রুপিতে ডবল বেডে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আজমীরে অসংখ্য বাংলাদেশীদের জন্য ফ্রি থাকার ও খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু আসার সময় যে যার মত করে দিলে চলবে। না দিলে কোন অসুবিধা নেই। যেমন রয়েছে আজমীর শরীফে অন্যতম খাদেম মুন্না ভাইয়ের লজ। আজমীর শরীফে যাওয়ার পর আপনি পাশ্ববর্তী রাজ্য গুজরাটের সুরাট নগরে সারোয়ার শরীফ মাজারে যেতে পারেন। এই মাজারটি খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির ছেলে সারোয়ারের। এখানে রয়েছে ডায়মন্ড কাটিং ফোর্ট মসজিদ। আজমীর থেকে গাড়ীতে ৩ ঘন্টার পথ। মরুভূমির ভিতর থেকে যেতে আপনার ভালই লাগবে।

এছাড়া, অসংখ্য পর্যটন এলাকা রয়েছে আশে পাশে, যেমন ঃ আচলগড়, আহার, আকল-উল ফসিল পার্ক, আলওয়ার, আমীর, বাড়োলী, জয়পুর, আগ্রার তাজমহল ইত্যাদি। বাংলাদেশের অসংখ্য ট্যুরিজম কোম্পানী বছরের যেকোন সময় প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করে থাকে।



এ পাতার আরও খবর

সত্য কথা বলার আগে লেখার আগেই মুস্তাকের মত স্থায়ী জামিন নিয়ে রাখবেন প্লিজ সত্য কথা বলার আগে লেখার আগেই মুস্তাকের মত স্থায়ী জামিন নিয়ে রাখবেন প্লিজ
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি
প্রতিমন্ত্রীর ফরহাদের একটি মোটরসাইকেল ছিলনা এখন তার চারটি দামি গাড়ি প্রতিমন্ত্রীর ফরহাদের একটি মোটরসাইকেল ছিলনা এখন তার চারটি দামি গাড়ি
নতুন বছরে মন্ত্রীসভায় বড় রদবদল-কাজল ফকিরের আগাম বানী নতুন বছরে মন্ত্রীসভায় বড় রদবদল-কাজল ফকিরের আগাম বানী
৪ঠা ডিসেম্বর  আমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচার পরাস্তের দিন ৪ঠা ডিসেম্বর আমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচার পরাস্তের দিন
শহীদ ডা. মিলন দিবস-কবে হবে মিলন ভাইয়ের হত্যার বিচার -? শহীদ ডা. মিলন দিবস-কবে হবে মিলন ভাইয়ের হত্যার বিচার -?
বাঙালির শোকের মাস বাঙালির শোকের মাস
রাষ্ট্র পরিবর্তনের প্রথম শর্ত হচ্ছে শিরদাঁড়া শক্ত করে, মাথা উঁচু করে প্রশ্ন করা রাষ্ট্র পরিবর্তনের প্রথম শর্ত হচ্ছে শিরদাঁড়া শক্ত করে, মাথা উঁচু করে প্রশ্ন করা
শহীদ কমরেড তাহের বীর উত্তমের ফাসির পুর্বে শেষ চিঠি শহীদ কমরেড তাহের বীর উত্তমের ফাসির পুর্বে শেষ চিঠি
স্রোতের বিপরীতে একজন অধ্যাপক ফারুক, রাষ্ট্রের মন্ত্রী সচিব এবং আমরা… স্রোতের বিপরীতে একজন অধ্যাপক ফারুক, রাষ্ট্রের মন্ত্রী সচিব এবং আমরা…

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)