বুধবার, ৫ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » না.গঞ্জে নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীকে হয়রানির অভিযোগ
না.গঞ্জে নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীকে হয়রানির অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি পাওয়া কয়েকজন মামলার বাদী সেলিনা ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকিসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে মামলার বাদী ও নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘এ মামলার অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি পাওয়া বেশ কয়েকজন আমাকে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।’
এদিকে, বুধবার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপমের আদালত।
একই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির দিন র্যা বের আট সদস্যসহ মামলার পলাতক ১৩ আসামির মালামাল জব্দের নির্দেশনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুনানির সময় কারাগার থেকে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২২ আসামিকে হাজির করা হয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর ছয়জনের এবং চার দিন পর একজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা বাদী হয়ে একটি এবং আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লার মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
প্রায় এক বছর পর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সাত খুনের ঘটনায় কাউন্সিলর (বর্তমানে বরখাস্ত) নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এম এম রানাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২২ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১৩ জন।
নিহত নজরুলের স্ত্রীর করা মামলায় নূর হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে নূর হোসেন ছাড়া বাকি পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াও রয়েছেন। মামলার বাদী এ ব্যাপারে নারাজি আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করে গত ৮ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।