গুলিবিদ্ধ মা-শিশুকে দেখতে গেলেন এরশাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাগুরার গুলিবিদ্ধ মা নাজমা বেগম ও তার শিশুকে দেখতে গেলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে তাদেরকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি বেশ কিছুক্ষণ তাদের পাশে বসেন। শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবরও নেন।
পরে এইচ এম এরশাদ এ ঘটনার জন্য জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মা ও তার জঠরেই শিশুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা হৃদয়বিদারক। সমাজের অবক্ষয় কোন পর্যায়ে গেছে তা এ ঘটনা থেকে বোঝা যায়। এমন নৃশংস ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এগুলোর বিচার হয়নি। যদি বিগত সরকারগুলো এসব হত্যাকা-ের বিচার করে জড়িতদের শাস্তি দিত তাহলে আজ এভাবে একজন মা ও তার গর্ভেই শিশুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার মত নৃশংস ঘটনা ঘটত না।’
এইচ এম এরশাদ সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে বিপ্লব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এইচ এম এরশাদের সঙ্গে বিরোধী নেতা রওশন এরশাদের আসার কথা থাকলেও তাকে দেখা যায়নি। জাপা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিএম কাদের, দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মেজর অব. খালেদা আখতার, মোহাম্মদ নোমান এমপি, ইঞ্জিনিয়ার ওমর এমপি, যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, ইকবাল হোসেন রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, সুলতান মাহমুদ, শ্রমিক পার্টির সভাপতি শাহ আলম, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সেক্রেটারি মোবারক হোসেন আজাদ, ছাত্রসমাজের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মিরু।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এরশাদকে স্বাগত জানিয়ে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন।