বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | বিশ্ব সংবাদ | সম্পাদক বলছি » বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে ভারত
বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদক : ,শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ভারত দ্বিতীয় লাইন অফ ক্রেডিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানে সম্মত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ইন্ডিয়া ইনভেস্ট্রেড ২০১৫’ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের গণপরিবহন, সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, বন্দর, আইসিটি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশের ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামোখাতে গুণগত পরির্তন আসবে এবং এটি দু-দেশের মধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি জোরদারে বহুমুখী অবদান রাখবে।’
তিনি বলেন, বিশ্ব মন্দা থাকা সত্বেও বাংলাদেশ ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। নানা চড়াই-উতরাইয়ের মাঝেও গত প্রায় এক দশক ধরে স্থিতিশীল অর্জন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমান। বাংলাদেশ সরকার ভারতসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নীতিতে বিশ্বাসী। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রয়েছে।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক শক্তিশালী করতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর ফলে স্থলসীমান্ত চুক্তিসহ ২২টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়নে দু-দেশের, বিশেষ করে- সীমান্ত এলাকায় অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থিতিশীলতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মেঘালয় রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ড. মুকুল শর্মা, মনিপুর রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবী সিং, বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ আব্দুস সামাদ, ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির(ডিসিসিআই) সভাপতি হোসাইন খালেদ প্রমুখ।