বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » বেসরকারি স্কুলের ভর্তিতেও ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা
বেসরকারি স্কুলের ভর্তিতেও ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তিতেও ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় থেকেই এটি কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গতকাল বুধবার এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। আগের দিন মঙ্গলবার শুধু মহানগর এলাকার সরকারি বিদ্যালয়ের ভর্তিতে এ ধরনের কোটার উদ্যোগের বিষয়টি আলোচনা হয়েছিল। গতকালের সভায় সারা দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেই ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এলাকা কোটার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। পরে ঠিক হয়ে যাবে। এটি শিক্ষার জন্য খুব ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
শিক্ষাসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গতকালের সভায় মন্ত্রণালয় ও মাউশির কর্মকর্তারা ছাড়াও কয়েকটি নামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত একজন অধ্যক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার কোটা নির্ধারণের লক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলোকে ক্যাচমেন্ট (আশপাশের নির্ধারিত এলাকা) এলাকা ঠিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সহায়তায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরিপ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে বালিকা বিদ্যালয় ও বালক বিদ্যালয় কাছাকাছি হলে সেটি মাথায় রেখেই ক্যাচমেন্ট এলাকা নির্ধারণ করা হবে। কোটা নির্ধারণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় আনা হবে। মহানগর এলাকায় ক্যাচমেন্টের জন্য প্রথমে থানার কথা আলোচনা হলেও পরে ওয়ার্ডকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ক্যাচমেন্ট ও জরিপ করার পর নভেম্বরের শুরুতে আরেকটি সভা করে কোটার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা হবে।
মন্ত্রণালয় ও মাউশির দুজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত হলেও মূলত শহর এলাকায়, বিশেষ করে মহানগর এলাকার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হবে। মফস্বল এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে এমনিতেই আশপাশের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়।
মাউশির সূত্র বলেছে, এলাকার শিক্ষার্থীরা এলাকার বিদ্যালয়ে পড়বে-এই চিন্তা থেকেই এমন উদ্যোগ।
এর আগে ৪ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরিপত্রে বলেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিশুদের কোনো ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি করতে হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিশুরা বিদ্যালয়ে এসে তাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে ভর্তি (তালিকাভুক্ত) হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার সব শিশুকেই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যদি বিদ্যালয়ের আশপাশের নির্ধারিত এলাকার শিশুদের সংখ্যা বিদ্যালয়ের আসনের চেয়ে বেশি হয়, কেবল সে ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে। আর এলাকার শিশুদের ভর্তির পর আসনসংখ্যা শূন্য থাকলে নিকটতম এলাকার শিশুদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া যাবে।