শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ৩৫ টি এডভাইসে ৯৭১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের নির্দেশনা ছিলো!
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ৩৫ টি এডভাইসে ৯৭১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের নির্দেশনা ছিলো!
৩০২ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৩৫ টি এডভাইসে ৯৭১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরের নির্দেশনা ছিলো!

---পক্ষকালঃ

ঢাকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্তত ৩৫ টি লেনদেনের এডভাইস গিয়েছে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে।এই ৩৫টি এডভাইসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ একাউন্ট থেকে প্রায় ৯৭১ মিলিয়ন ডলার স্থান্তান্তরের নির্দেশনা ছিলো। পাঁচটি নির্দেশনা কার্যকর করার পরই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অনলাইন সার্ভিলেন্স সিস্টেম লেনদেনগুলোকে ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করে। ফলে বাকি এডভাইসগুলো আর কার্যকর হয়নি। ততক্ষণে প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে স্থানান্তরিত হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি বিভাগের নির্দিষ্ট একটি কম্পিউটার থেকে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে অনলাইনে এই এডভাইসগুলো গিয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করেছে হ্যাকাররা একাউন্ট হ্যাক করে নিউইয়র্কের মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এই অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক তাদের কোনো একাউন্ট বা সিস্টেম হ্যাক হওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, হ্যাকারদের চুরি করে নেওয়া টাকার অংশ বিশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে- মর্মে ঢাকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই রিজার্ভ থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ফিলিপাইনের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘ইনকোয়ারার’ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জানায়, ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রায় ৮০০ কোটি বাংলাদেশি টাকার সমপরিমান ‘ডার্টি মানি’ ঢুকে পড়েছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়, টাকাটা বাংলাদেশ থেকে গিয়েছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক কি পরিমান অর্থ খোয়া গেছে তা প্রকাশ করেনি।ঘটনাটা কখন ঘটেছে সে ব্যাপারেও নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি। চুরি যাওয়া টাকার পরিমানটা প্রচার পেয়েছে ফিলিপাইনের ‘ইনকোয়ারার’ পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে। ওই পত্রিকায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাঁচার হয়ে পিলিপাইনে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। সেই তথ্যকে ভিত্তি ধরেই ৮০০ কোটি টাকার সমপরিমান অর্থ চুরি গেছে বলে প্রচার হচ্ছে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)