শনিবার, ১৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » » বাংলাদেশ ব্যাংকে তদন্তে সুইফট প্রতিনিধিরা
বাংলাদেশ ব্যাংকে তদন্তে সুইফট প্রতিনিধিরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় সুইফট প্রতিনিধিরা ঢাকায় তাদের সিস্টেম পরীক্ষার কাজ করছেন।সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশনের (সুইফট) দুজন এই কাজ করছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনারা সুইফটের সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখবেন। সেখানে কোনো ত্রুটি আছে কি না বা কোনো আপগ্রেডেশন দরকার আছে কি না।
“এছাড়া রিজার্ভের অর্থ কীভাবে সরানো হয়েছে বা এই অর্থ সরাতে সুফইট মেসেজ কীভাবে ব্যবহার হয়েছে, সে বিষয়টিও তারা দেখবেন।”গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসা এই দুজনে নাম ও পদবী বা তারা সুইফটের কোন অফিসের কর্মকর্তা, তা প্রকাশ করতে চাননি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।
সুইফট হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম। সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এর সদস্য।
এক দেশ থেকে আরেক দেশে সুইফটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর হয়ে থাকে। এজন্য সুইফট প্রত্যেকটি সদস্যকে একটি নির্দিষ্ট কোড ও সিস্টেম ব্যবহারের জন্য গোপন নম্বর (পিন) দিয়ে থাকে।
গত মাসে সুইফট মেসেজ পাঠিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ফিলিফিন্স ও শ্রীলঙ্কায় ১০ কোটি ডলার সরানো হয়।
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে অর্থ স্থানান্তরের ওই বার্তা পাঠানো হয়েছিল।আলোচিত এই ঘটনার ৪০ দিন পর মামলা হলে তার তদন্তে নেমেছে পুলিশের সিআইডি। পুরো ঘটনা তদন্তে সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, সুইফটের প্রতিনিধিরা নিজেদের সিস্টেম পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার গঠিত তদন্ত দলের সঙ্গেও বৈঠক করবে।যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের অর্থ লোপাটের এই ঘটনা দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।সিআইডি ইতোমধ্যে জানিয়েছিল,তারা রোববার ঢাকায় এফবিআই প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করবেন।তদন্তে সহযোগিতা করতে ওয়াশিংটন তৈরি বলে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসও জানিয়েছিল।